প্রমাণ ছাড়াই দুই ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) গ্রহণ করেছেন। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের জায়গীরপাড়া এলাকার বাসিন্দা পরিচয়ে তাঁরা বাংলাদেশের সিম কার্ড কিনেছেন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এনআইডি দুটি ব্লক করার কথা জানানো হয়েছে।
এই দুই ব্যক্তি হলেন বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান। নথি অনুযায়ী, তাঁরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার মাগুরমারী গ্রামের বাসিন্দা। তবে সম্প্রতি তাঁরা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের জায়গীরপাড়া এলাকার বাসিন্দা হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ এবং এনআইডি গ্রহণ করেন। তাঁরা বাংলাদেশের মোবাইল সিম কিনেছেন এবং ব্যাংক হিসাবও খুলেছেন।
খবরটি প্রকাশ পাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, জায়গীরপাড়া এলাকার কোনো বাসিন্দাই তাঁদের চেনেন না। এলাকাবাসীরা জানান, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সবাইকে চেনেন, কিন্তু এই পরিবারকে কেউ কখনও এলাকায় দেখেননি।
বোদা উপজেলা প্রশাসন জানায়, ঘটনাটি জানার পর কীভাবে ওই দুই ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশি জন্মসনদ ও ভোটার কার্ড পেয়েছেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁদের এনআইডি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই নির্বাচন অফিস আপাতত অভিযুক্তদের এনআইডি স্থগিত করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’