বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

দুই আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো লালমনিরহাটে মহাসড়ক অবরোধ

ডেস্ক নিউজ / ২০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ চালুর দাবিতে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। এতে অন্তত ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত আট দিন ধরে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। সোমবার সকালে স্থানীয়রা হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন।

অবরোধকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের স্পষ্ট দাবি, বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখবেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল থেকে একই দাবিতে হাতীবান্ধা-পাটগ্রামের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটের চারটি উপজেলায় গত আট দিন ধরে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে উদ্বোধনের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

আন্দোলনকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ট্রেনটির নামকরণ ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ হলেও এটি বুড়িমারী স্টেশন থেকে চলাচল না করায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে ট্রেনটির চলাচল শুরুর জোর দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজকের অবরোধে স্থানীয় বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কোয়েল, আব্দুর রাজ্জাক সবুজ, সাংবাদিক ফারুক হোসেন নিশাত, ফিরোজ হোসেন, শামসুল আলম বুলেট এবং হাতীবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য দেন এবং অবরোধের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জানান।

এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে বহু দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক আটকা পড়েছে এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, তবে অবরোধকারীরা তাদের অবস্থানে অনড়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ