দেখতে দেখতে ১৮ বছর! আইপিএলের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এবারের ফাইনালসহ ২৬৮ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি, সবচেয়ে বেশি চারের মার- সবই বেঙ্গালুরুর পোশাকে করেছেন কোহলি। তবে শিরোপাটা এতদিন অধরা ছিল। আইপিএলের এটি ১৮তম আসর। এই আসরেই সেই অমরত্ব পেলেন কোহলি। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শিরোপা জিতে ১৮তম আসরে আইপিএলের ‘যৌবন’ যেন পূরণ করলেন ১৮ নাম্বার জার্সি পরা কোহলি!
চতুর্থ আইপিএল ফাইনালে এসে প্রথম আইপিএল ফাইনাল জয়টা তুলনামূলক সহজ ছিলো না। কোহলির বেঙ্গালুরু আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে তুলেছিল ১৯০ রান। জবাবে পাঞ্জাব করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৮৪। জয়ের ব্যবধানটা মাত্র ৬ রানের।
ম্যাচ শেষ হতেই হাঁটু গেঁড়ে মাটিতে বসে পড়েন কোহলি, নিচু করে থাকেন মাথা। একটু পর তাকে ঘিরেই উদযাপনে মেতে ওঠে বেঙ্গালুরুর অন্য ক্রিকেটাররা। বেঙ্গালুরুর সাবেক ব্যাটসম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট এবি ডি ভিলিয়ার্স মাঠে নেমে জড়িয়ে ধরেন বন্ধু কোহলিকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০ ওভারে ১৯০/৯ (সল্ট ১৬, কোহলি ৪৩, আগারওয়াল ২৪, পাতিদার ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, জিতেশ ২৪, শেফার্ড ১৭, ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪, ভুবনেশ্বর ১, দায়াল ১*; আর্শদিপ ৪-০-৪০-৩, জেমিসন ৪-০-৪৮-৩, ওমারজাই ৪-০-৩৫-১, ভিজায়কুমার ৪-০-৩০-১, চেহেল ৪-০-৩৭-১)
পাঞ্জাব কিংস: ২০ ওভারে ১৮৪/৭ (আরিয়া ২৪, প্রাভসিমরান ২৬, ইংলিস ৩৯, শ্রেয়াস ১, ওয়াধেরা ১৫, শাশাঙ্ক ৬১*, স্টয়নিস ৬, ওমারজাই ১, জেমিসন ০*; ভুবনেশ্বর ৪-০-৩৮-২, দায়াল ৩-০-১৮-১, হেইজেলউড ৪-০-৫৪-১, ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪-০-১৭-২, সুয়াশ ২-০-১৯-০, শেফার্ড ৩-০-৩০-১)
ফল: বেঙ্গালুরু ৬ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন।