শিরোনাম
নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন রমেক চিকিৎসক মারুফুল হাসান;’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি অবৈধ বালু উত্তোলনস্থলের খননকৃত গর্ত থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবেনা- রংপুরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একান্ত বৈঠক আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও এআই দিয়ে বানানো : হাসিনার আইনজীবী চেয়ারম্যানের গাড়ির তেলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে ৩৩ বছর নখ কাটেন না দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর অরুণ আ. লীগকে ফিরিয়ে আনাই দিল্লির দোসরদের মিশন : ঢাবি শিবির সভাপতি নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে দেওয়া হবে বডি ক্যামেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেরোবি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য ৭টি বাস ভাড়ার অনুমোদন
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

দিনাজপুরে চুরির সন্দেহে কিশোরকে মারধর, পরে বস্তাবন্দি করে ফেলা হলো নদীতে

রিপোটারের নাম / ৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

দিনাজপুর সদর উপজেলায় মোবাইল চুরির সন্দেহে এক কিশোরকে মারধর করে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার ৫নং শশরা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ হাটের পশ্চিমে গাবুড়া নদীর ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের আইহাই গ্রামের খাদিমুল ইসলাম (৩৮) ও তার ভাতিজা নুর হাবীব নয়ন (২০)।ভুক্তভোগী কিশোর সাজেদুর রহমানের (১৩) বাড়ি একই এলাকায়। সে পড়ালেখার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১টার দিকে গাবুড়া নদীর পাড়ে দুই ব্যক্তিকে একটি কিশোরকে মারধর করতে দেখা যায়। পরে কিশোরটিকে একটি চটের বস্তায় ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে নদীতে ফেলে দেন তারা। এসময় এক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে লোকজন এসে কিশোরটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই দুই যুবককে এলাকাবাসী আটক করে মারধর শুরু করে। এলাকাবাসী ৯৯৯-এ ফোন করেন। সেখান থেকে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই দুই যুবককে আটক করে ভিকটিম সাইদুর রহমানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর বাবা হাফেজুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কমলপুর বাজারের একটি মুদিদোকান থেকে নুর হাবীবের একটি স্মার্টফোন হারিয়ে যায়। ওই সময় তার ছেলে ওই দোকানে গিয়েছিল। পরে মোবাইল চুরির বিষয়ে তার ছেলেকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু সে বিষয়টি অস্বীকার করে। বুধবার বেলা ১১টায় তার ছেলে টেম্পোতে করে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছালাপুকুর এলাকায় নয়ন ও তার চাচা খাদিমুল তার ছেলের পথ রোধ করেন। পরে তার ছেলেকে টেম্পো থেকে নামিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেন তারা। পরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তারা তার ছেলেকে নিয়ে যান নদীর ঘাটে। সেখানে তাকে মারধর করে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, মোবাইল চুরির সন্দেহে কিশোরটিকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছেন। বর্তমানে কিশোরটি সুস্থ আছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ