দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৯ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নুরন্নবী ইসলাম (২১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে খানসামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নুরন্নবী এবং তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত নুরুন্নবী উপজেলার টংগুয়া কছির পাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
শিশুটির পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে নিজ ঘরের পার্শ্ববর্তী একটি চাতালে ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিল শিশুটির বাবা-মা। এ সময় অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে পানির তৃষ্ণা পেলে সব শিশু অভিযুক্ত নুরুন্নবী ইসলামের বাড়িতে যায়। এই সময়ে সুযোগ পেয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নুরুন্নবী। পরে ভুক্তভোগী শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় সে।
বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাবা-মা শিশুটিকে বাড়ির বাইরে রেখে আসে। পরে অন্য শিশুদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ভুক্তভোগীর বাবা-মা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই নুরুন্নবীসহ তার বাবা মা পলাতক রয়েছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নুরুন্নবী, তার বাবা, মা ও ভাইকে আসামি করে মামলা করেন। মেয়ের ওপর এই জঘন্য অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বলেন, “আমার নাবালক মেয়ের উপর এই জঘন্য অত্যাচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বলেন, “স্পর্শকাতর এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”