যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়ের টুকরো, দা, গোলাপ পানিসহ একটি চিরকুট রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) ভোররাতে কে বা কারা এগুলো রেখে যায়। চিরকুটে লেখা আছে ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ’। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজান সরদার ও তার ভাইপো যুবদলের সদস্য আবু তাহের। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, পাশাপাশি দুটি বাড়িতে থাকেন বিএনপি নেতা শাহজাহান সরদার ও যুবদল নেতা আবু তাহের। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দিবাগত রাতে তারা বাসায় ঘুমাতে যান। ভোরে বিএনপি নেতা শাহজাহান মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের হলে দেখেন উঠানের সামনে বেলগাছে একটি সাদা প্যাকেট ঝুলছে। কৌতুহল বসত প্যাকেটটি নামিয়ে দেখেন তার ভেতরে দুই টুকরা কাফনের কাপড়, দা, গোলাপ জল, আতর, আগরবাতি, সুরমাসহ দাফনের যাবতীয় জিনিসপত্র। টিরকুটে লেখা ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ’। এরপর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজান সরদার জানান, ভোরে প্যাকেটে কাপড়ের টুকরো, দা, চিরকুট দেখে আতঙ্কে আছি। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছে। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাড়া থেকে লোকজন আমাদের বাড়িতে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানাতে অভিযোগ করেছি। ধারণা করছি, ২০২১ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা করেছিলো। হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়াতে এখন তারা নতুন করে পরিকল্পনা করছে। রাজনীতিক আধিপত্য বিস্তার করছে এই হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আওয়ামী লীগের আমলেও শাহজাহানের বাড়িতে হামলা হয়েছিলো। নেতৃত্ব দিয়েছিলো স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন তারা এলাকাতে আধিপত্য বিস্তার করতে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি দিতে এই কাজ ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা এ বিষয়ে থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।