শিরোনাম
আমরা সংসদ নির্বাচন চাই না: সামান্তা শারমিন এনসিপির পদে সারোয়ার তুষার পুনর্বহাল, শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার দাফনের ১৭ দিন পর কিশোরকে জীবিত উদ্ধার! এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি জামায়াত ১০ শতাংশ ভোট পাইলে বলব বাপের বেটা: ফজলুর রহমান সম্পর্ক উন্নয়নে একাত্তরের ইস্যু অবশ্যই সমাধান করা উচিত: এনসিপি উপদেষ্টা মাহফুজের বিএনপি থেকে নির্বাচনের গুঞ্জন, যা বললেন উপদেষ্টার বাবা নারী-পুরুষের হাত-পা বাঁধাসহ লাশসহ বুড়িগঙ্গা থেকে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে ৪টি মরদেহ উদ্ধার খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের কোনো ইতিহাস রচিত হবে না: চসিক মেয়র দেবীগঞ্জে চার ক্লিনিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে কাঁচা মরিচের আমদানি, কমেছে দাম
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

দাফনের ১৭ দিন পর কিশোরকে জীবিত উদ্ধার! এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি

ডেস্ক রিপোর্ট / ৬২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সিলেটে নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামের এক কিশোরকে দাফন করার ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং শনিবার (২৩ আগস্ট) জবানবন্দি নেওয়ার জন্য মৌলভীবাজার আদালতে পাঠায়। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামে এক নিখোঁজ হয়। পরে গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর সেটি নিখোঁজ নাঈম হিসেবে শনাক্ত করে দাফন সম্পন্ন করে পরিবার। এর আগে মরদেহ নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান করে হত্যার প্রতিবাদ করেন স্বজনরা।

এদিকে দাফনের ১৭ দিন পর কিশোর নাঈমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। উদ্ধারের পর তার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে দাফন করা সেই কিশোরের সঠিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। এছাড়াও রবিউল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বগুড়ার শিবগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল ফকিরের কারাভোগ নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

জানা যায়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় বুলবুল ফকিরের রেস্টুরেন্টে কাজ করতো নাঈম। গত ২৪ জুলাই সে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সে। নাঈমের মা ছেলেকে নিখোঁজ উল্লেখ করে ওসমনীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার হয়। সেই মরদেহটি নাঈমের বলে শনাক্ত করে পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণের পর ৫ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করে পরিবার।

এ ঘটনায় রবিউলের পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে দোকান মালিক বুলবুল ফকির এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। এ অবস্থায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান শনিবার হবিগঞ্জেহর নবীগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নাঈমকে উদ্ধার করেন। পরে তার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠান।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজ বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে কিশোর নাঈমকে তার আত্মীয় জুবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করার পর জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ