শিরোনাম
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত ‘ছাত্রদল কর্মী ওয়াসিম প্রথম শহীদ, আবু সাঈদ নয়’ আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের আহ্বান জানানো মুনতাসীরই হয়েছেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি পাটগ্রামের ধবলসুতী সীমান্তে বিএসএফের ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন ও ড্রোন মহড়া, বিজিবির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ এক নারীর উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন দেড় মাস সংসার করার পর বেড়িয়ে এলো সত্য, জানা গেলো নববধূ পুরুষ অন্তর্বর্তী সরকার মেরুদণ্ডহীন, প্রতিটি বিষয়েই বিএনপির দিকেই তাকিয়ে থাকে : নুর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মোহাম্মদপুরে দিনে-দুপুরে ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারালেন স্বামী আ.লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে বঁটির কোপে আহত হলেন পুলিশের এসআই
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

দাদার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিশু আয়মান

ডেস্ক রিপোর্ট / ১১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শিশু আয়মানকে শরীয়তপুরে দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাদ এশা ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামে তাকে তার দাদার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

শিশু আয়মান (১০) উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার বাপ্পি হাওলাদারের বড় মেয়ে। পরিবারসহ ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করছিল আয়মান।

গত সোমবার (২১ জুলাই) প্রতিদিনের মতো আয়মান স্কুলে ক্লাসে অংশ নিচ্ছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এই দুর্ঘটনায় ক্লাসে থাকা আয়মানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণ ও আগুনে তার শরীরের প্রায় ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। চারদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আয়মান।

আয়মানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণপুরে নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকার মানুষ প্রিয় শিশুটির মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়ে।

আয়মানের চাচা মাহাতাজ হাওলাদার বলেন, আমার ভাতিজি সেদিন ক্লাসে বসে ছিল, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ও বিস্ফোরণে ঝলসে যায়। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের আদরের আয়মানকে আর বাঁচানো গেলো না। আমরা শুধু চাই, এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ