শিরোনাম
বিএনপির স্থাপিত অভিযোগ বাক্সে জমা পড়ল নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের অভিযোগ বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের চেয়ে ভালো, তারা কেন ভারতে আসবে?’ জামায়াত আমিরের হার্টে ব্লক, জরুরি সার্জারির সিদ্ধান্ত আদালত চত্বরে আ’লীগ নেতাদের ডিম নিক্ষেপ করতে এসে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদলের পাঁচ নেতা ‘আমি আধুনিক পুলিশ, সাংবাদিকদের ভয় করে চলি না’ রংপুরের শিবলী কায়সারসহ এএসপি থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার ৫ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত কুড়িগ্রামে বিষাক্ত খৈয়া গোখরার ছোবলে সাপুড়ের মৃত্যু, কাঁচা সাপ খেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেন আরেক ওঝা। মসজিদের ৪২ বিঘা সম্পত্তি বেদখল: সরকারি হস্তক্ষেপের আবেদন মুসল্লিদের আওয়ামী লীগ আমলে ভোট করা অপরাধ হলে বিএনপি-জামায়াতও অপরাধী: জাতীয় পার্টির কালীগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক হলেন ডিআরবি নিউজ প্রতিনিধি কায়সারুল আলম সোহাগ
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানি কমলেও প্লাবিত লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

স্থানীয় রিপোর্ট / ১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে (৫২.২২ মিটার) প্রবাহিত হয়। এ সময় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়। তবে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।

রাতেই তীব্র স্রোতের কারণে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার একটি কাঁচা সড়ক ভেঙে পড়ে। পানি কমলেও ডালিয়া ব্যারাজের ভাটির দিকে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি। এসব অঞ্চলের সানিয়াজান, সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, ভোটমারী, মহিষখোচা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।

পানির তোড়ে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা ধান ডুবে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে, ফলে বীজ ও ধানের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ও মাঠে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, রান্না-বান্না ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’

গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিবার বন্যায় স্কুলের মাঠ ও রাস্তা ডুবে যায়। কোমর সমান পানি থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউ আসতে পারে না। তাই কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। রাস্তা উঁচু না করা পর্যন্ত সমস্যা চলতেই থাকবে।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ‘তিস্তার পানি রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ধুবনী এলাকায় একটি বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে পানি কিছুটা কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এরপর তা ধীরে ধীরে নেমে যেতে পারে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ