শিরোনাম
জামায়াতে ইসলামী ইসলামের নামে মানুষের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে: তাহের সুমন খানসামায় একই পরিবারে দুই প্রতিবন্ধী; বৃদ্ধ বাবা-মায়ের মানবেতর জীবন ফিরে দেখা ২ আগষ্ট; রংপুরে আন্দোলনে একসাথে নেমেছিলেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা লন্ডনে লোকাল বাসের সাধারণ যাত্রী তারেক রহমান, নেটদুনিয়ায় প্রশংসিত সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি; চাঁদার টাকায় কেনা অপুর মোটরসাইকেল উদ্ধার প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা বিএনপি নেতা পঞ্চগড়ে ৯ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র : মাহফুজ প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর আন্দোলন করবে বিএনপি: মির্জা আব্বাস
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

পঞ্চগড়ে তিন মামাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে কোটি টাকার জমি লিখে নিলেন ভাগনে

স্থানীয় রিপোর্ট / ১০০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

জীবিত তিন মামাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাঁদের ভাগনের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, তিনবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত জলধর রায় প্রধানের ছেলে ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান, বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও রামগোপাল রায় প্রধান দীর্ঘদিন ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র লক করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভাগনে উত্তম কুমার রায় তনু ভুয়া কাগজপত্রে মামাদের ‘মৃত’ দেখিয়ে নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকার দাবি করে জমি দখল ও বিক্রি করে দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের একজন ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান বলেন, ‘আমরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক। আমার বাবা জলধর রায় প্রধান এই এলাকার তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি নিজে গ্রাম সরকারের প্রধান ছিলাম, স্কুল, মসজিদ, মন্দির ও বাজারে জমি দান করেছি। অথচ আজ আমাদের মৃত দেখিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখল ও বিক্রি করা হয়েছে। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা হয়েছে, এটি আমার অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা।’

ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্য, হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মৃত ভাইয়ের স্ত্রী বা সন্তান না থাকলে জীবিত ভাই-বোনেরা উত্তরাধিকার হন। কিন্তু এই তিন ভাই জীবিত থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ‘মৃত’ দেখিয়ে উত্তরাধিকার হিসেবে ভাগনে জমিগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত উত্তম কুমার রায় তনু প্রথমে ফোন ধরলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জমির ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উত্তম কুমার তনুর কাছ থেকে জমি কিনেছি। জমির দলিল করার সময় তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মামারা মৃত। এখন জানতে পারছি, তাঁরা জীবিত এবং তাঁরাই প্রকৃত মালিক।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভবেন্দ্রনাথের পরিবার সমাজসেবা ও শিক্ষা খাতে অনেক অবদান রেখেছে এবং তিনি এখনো এলাকায় আসেন।

টেপ্রীগঞ্জ ভূমি অফিসের তহশিলদার দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার চাকরির বয়স ১৯ মাস। আগে কী হয়েছে, জানি না। আমি নতুন এসেছি, কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়ে থাকে, তার প্রতিকারও আছে। এখন দাখিলা ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি হয় না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ