তিন দফা দাবি আদায়ে এবার অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২১ মে) থেকে সারাদেশে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
এর আগে, শিক্ষকরা ৫ মে থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৭ মে থেকে তা বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে আজ (২০ মে) বিকেল ৪টায় বৈঠকের আয়োজন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এই বৈঠক আহ্বান করেছেন।
বৈঠকে অংশ নেবেন ঐক্য পরিষদের ৬টি সংগঠনের ৩০ জন প্রতিনিধি। তবে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, আলোচনায় অংশ নেওয়া হলেও কর্মসূচি চলমান থাকবে।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি—১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ: সহকারী শিক্ষক পদকে অ্যান্ট্রি পদ হিসেবে গণ্য করে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কার দাবি করছেন তারা।
উচ্চতর গ্রেডে জটিলতা নিরসন: ১০ বছর এবং ১৬ বছর চাকরিপূর্ণির পর উচ্চতর গ্রেড পেতে যেসব জটিলতা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।
শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত: প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ দিতে হবে এবং পদোন্নতির প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা ১১তম বেতন গ্রেডে, আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।
সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই ধরণের শিক্ষকের মধ্যে এত বড় পার্থক্য থাকা যুক্তিযুক্ত নয়। তারা দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।