শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ শিবিরের সাথী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির ও স্বর্ণ শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন মিলনের কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।
তিনি বলেন, আমরা জুলাই শহীদদের রক্তের ওপরে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। তারা জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করছেন না। তারা অনেক বেশি ভোগ বিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ছাত্র উপদেষ্টা যাদের বানিয়েছি, তাদেরও ব্যর্থতা দেখছি, দুর্নীতি দেখতে পারছি। জুলাইয়ের যে সার্বজনীনতা, ঐক্য ছিল সেটি নষ্ট করার জন্য দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা রয়েছে তাদের বিভাজনমূলক আচরণ দেখতে পারছি। এটি পুরা জাতিকে অনেক বেশি হতাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সহযোদ্ধাদের সামগ্রিক আচরণে ব্যক্তি সাদিক কায়েম না পুরো জাতি আশাহত হয়েছে। আশা করছি জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমাদের মতের বিরোধ থাকবে, তবে দেশ ও জুলাইয়ের প্রশ্নে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। কিন্তু সেখানে দেখলাম সহযোদ্ধারা ক্রমাগত বিষোদগার করছেন। তারা বিষোদগার করলেও আমরা ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে চাই। ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বির্নিমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সেই সাথে জুলাইয়ের সাথে যারা গাদ্দারি করে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জারি থাকবে।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে যায়নি। আন্দোলনে বামপন্থি নাকি ইসলামীপন্থি দেখা হয়নি। আমরা সকলে জালেম হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শহীদরা সকলের সম্পদ। আমরা যদি দলীয় পরিচয় দিয়ে শহীদদের পরিচয় করিয়ে দেই তাহলে তা শহীদদের প্রতি অসম্মান করা হবে। শহীদরা দেশ ও জাতির সম্পদ। ছাত্রশিবির সকল শহীদকে ধারণ করতে চায়। আমরা তাদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের পরিবারের কাছে যাচ্ছি, তাদের ডকুমেন্টরি করছি, স্মারকগ্রন্থ করছি।