নোয়াখালী হাতিয়ায় সাত মাস ধরে তাঁতীদলের সভাপতির বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন। সেখানে থেকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে দশটি ককটেলসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালী গ্রামের তাঁতীদলের ইউনিয়ন সভাপতি সৈকতের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিষপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁতীদল নেতা সৈকত সম্পর্কে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের শ্যালক।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলাউদ্দিনের স্বজনরা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর আলাউদ্দিন তার শশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এই সুযোগে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার শ্যালক সৈকত তার কাছ থেকে কয়েক ধাপে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। এখন আটক হওয়ার পর তিনি কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান।
তাঁতীদল নেতা সৈকত বলেন, আটক আলাউদ্দিন সম্পর্কে আমার ভগ্নিপতি। কিন্তু তিনি আমাদের বাড়িতে পালিয়ে আছেন, এটা আমি জানতাম না। এছাড়া টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়।
তাঁতীদলের উপজেলা সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ‘সৈকতের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তাকে পালিয়ে থাকার বিষয়ে সৈকতের সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাতিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে গোপনে সংঘবদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু লোক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জোড়খালী গ্রামের কালাম হাজীর বাড়ির বাগান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে পালিয়ে থাকা অবস্থায় আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সঙ্গে থাকা আরো ১৫-২০ জন সহযোগী পালিয়ে যান। তার শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি করে ১০টি ককটেল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, আটক আলাউদ্দিনকে ককটেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।