ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পার্কের মোড় প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রহমত আলী। তিনি বলেন, “চাঁদা না দেওয়ায় একজন মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা সভ্য সমাজে অকল্পনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে যেভাবে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা এখনই বন্ধ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু একজনকে বহিষ্কার করেই দায়সারা করা যাবে না। যারা দলীয় প্রভাবে চাঁদাবাজি ও সহিংসতায় জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিন বলেন, “আমাদের ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা সাম্য ও পারভেজকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—সবই একটি চক্রান্তের অংশ। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজনীতি বন্ধ করতে হলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।”
ছাত্রদলের কর্মী সিয়াম মন্ডল বলেন,মিটফোর্ডে যেভাবে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে ছাত্রদল দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজকের এই বিক্ষোভ তারই আগুনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ
বক্তারা অবিলম্বে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।