অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার পরামর্শে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় রাশেদ খাঁন বলেন, ড. ইউনূসের সরকার চলছে শেখ হাসিনার পরামর্শে। তার সরকারের ৪ জন উপদেষ্টা একাধারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ডামি-মামি এমপি মন্ত্রীদের টিকিয়ে রাখতে সরাসরি কাজ করে চলেছেন। গত ১ বছরে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন বা পরিবর্তন কেউ দেখাতে পারবে না। এমনকি, সরকারের উপদেষ্টাদের এপিএসরা দুর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।
রাশেদ খাঁন তার বক্তব্যে আরো বলেন, সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি কারণ তারা ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটের যে রোডম্যাপ দিয়েছে তার জন্য। কিন্তু ভোটের সময় প্রশাসনের কী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা চেয়েছিলনাম, বিগত সরকারের ওসি, এসপি, ইউএনও, ডিসি সহ আমলারা আর থাকবে না। সেখানে তারা কি পদক্ষেপ নেয় সেটা দেখতে হবে। ভোটের নির্দিষ্ট সময়ে প্রশাসনিক পরিবর্তনের উপরেই নির্ভর করছে মানুষ ভোট দিতে যাবে কিনা ।
তিনি আরো বলেন, গণঅধিকার পরষিদের নেতাকমীরা এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, মারামারি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত হয়নি। একটা উদাহরণ কেউ দেখাতে পরাবে না। কিন্তু অন্য সব দল কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না ।
জুলাই সনদ নিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, জুলাই সনদে মূল কথা, আসল কথা বাদে আর সবই আছে। পূরণ হয়নি আমাদের প্রত্যাশা। একবছরে কি পেলাম আমরা। কোনো একটা পরিবর্তন তারা করতে পেরেছে তা কেউ বলতে পরাবে না। আন্দোলনের ফলাফলকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তাহলে, ফ্যাসিষ্টরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন যারা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সুতরাং আপনাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।
ঝিনাইদহ নিয়ে তিনি বলেন, ২ কেজি গোস্ত আর ১ এক কেজি ডাল এবং ১’শ টাকা দিয়ে আর রাজনীতি করা যাবে না। লুটপাটের টাকায় রাজনীতি বাংলাদেশে আর হবে না। এখন ভালো মানুষ রাজনীতি করতে এসেছে তাদেরকে জনগণ ভোটে নির্বাচিত করবে।