নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা কেন করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৪ জুলাই ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
রিটটি করেছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক (ওরফে হোয়াইট ম্যান)। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই রিটটি দায়ের করেন। রিটে তিনটি দাবি জানানো হয়েছিল: ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা করা, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ, এবং তাদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর ড. ইউনূস সাহস করে দেশের হাল ধরেছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বলেন—দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য সংস্কারের পথে এগিয়ে যাবেন। তিনি বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে কাজ শুরু করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “একমাত্র একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সব পক্ষ তারসংস্কার প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য তার গৃহীত পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, তাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।”
এই রিটে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।