১২ বছর পর গলে কোনো টেস্ট ড্র হলো। ২০১৩ সালে আগের ঘটনাটিও ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার, মাঝে চলে গেছে ২৬ ম্যাচ। এখন পর্যন্ত গলে ৪৫ ম্যাচের ৭টি ড্র হয়েছে।
ম্যাচ যে ড্র-এর দিকে এগুবে সেটা বোঝাই যাচ্ছিলো। গত দিনের বিকেলের মতো নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে দেখেশুনেই ব্যাটিং করছিলেন। মাঝে বৃষ্টি হানা দিয়ে ম্যাচের ফল ড্রয়ের দিকেই ঠেলে দিয়েছে। বৃষ্টি শেষে শান্ত সেঞ্চুরি করে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন। জিততে হলে দিনের বাকি ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান করতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। অর্থাৎ ওভারপ্রতি ৮ রান করতে হতো স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট।
টেস্ট এবং পঞ্চম দিনের উইকেটের বিবেচনায় সমীকরণটা শ্রীলঙ্কার জন্য কঠিনই। তবুও দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও লাহিরু উদারা মিলে ইতিবাচক শুরুই করেছিলেন। তবে চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের দুজনকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম। চা-বিরতিতে শেষে ফিরে অনেকটা ড্রয়ের জন্যই ব্যাটিং করছিলেন দীনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাদের দুজনের ব্যাটিং দেখে সেটারই ইঙ্গিত মিলেছে। শেষ পর্যন্ত তারা দুজনও আউট হয়ে গেছেন। একটু পর দুই দলের অধিনায়ক শান্ত ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ড্র মেনে নিলে কয়েক ওভার থাকতেই খেলা শেষ হয়।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেরা উইকেট শিকারী ছিলেন স্পিনার নাঈম, অপরদিকে টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে সেরা রান সংগ্রাহক ও ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৯৫ ও ৮৭ ওভারে ২৮৫/৬ ডি. (নাজমুল ১২৫, সাদমান ৭৬, মুশফিক ৪৯; থারিন্দু ৩/১০২)। শ্রীলঙ্কা: ৪৮৫ ও ৩২ ওভারে ৭২/৪ (নিশাঙ্কা ২৪, কামিন্দু ১২*, ডি সিলভা ১২*; তাইজুল ৩/২৩, নাঈম ১/২৯)। ফল: ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন।