বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-আমিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, তিনি নেতাকর্মীর সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের এক শিক্ষার্থীর নানার বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট চাওয়ার ওই ভিডিওটি মুহুর্তেই ভাইরাল হলে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-আমিন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের একজন শিক্ষার্থীর নানার বাড়ি ভোট চাওয়ার জন্য গেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, “ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও”। এ সময় আল আমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন, মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবে না, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি। এরপর আলআমিন ঐ শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলেন।
তার মামা বলেন, শোনো, বাংলা কথা জিড়া, বিএনপি’র প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে । আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা।
এসময় আলআমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, মনোয়ার, তোমার বন্ধু বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিন বলেন, ‘এটা মূলত ১২/১৩ দিন আগের ঘটনা। আমি অনেক আগে থেকেই কোচিং চালাই যে শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে সে আমার কোচিংয়ের ছাত্র। সে আমাদের আত্মীয়। তার মামা বিএনপির নেতা। আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন তার মামা তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়, কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার মামা তাকে ফোন দিতে বলে। সেখানে সৌহার্দপূর্ণ কথা হয়, দেখবেন আনন্দঘন একটা মুহুর্ত। সে সময় তার নানি, মামা ও আমি কথা বলি। এটা নিয়ে নোংরামি হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা শিবিরের একটা অপকৌশল। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোট চাওয়া বা এমন কিছু নাহ।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি নাছির উদ্দীনকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।