শিরোনাম
মিঠাপুকুরে মাদ্রাসার সুপারকে অবরুদ্ধ , অর্ধ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ খানসামায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ও মাদক মামলার ৩ আসামি আদালতে প্রেরণ রংপুরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড ঢাবিতে শিবিরের প্রদর্শনীতে আবারও বসল সাঈদীর ছবি, তবে এবার আবু সাঈদ-ওয়াসিমের স্ট্যাটাসে শিক্ষকদের জন্য ‘মাহেরীন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করছে সরকার আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ; মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু: প্রধান উপদেষ্টা পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার নিহত। বেরোবির সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ পঞ্চগড়ে ছাত্রদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩ নদ-নদী মানচিত্র থেকে মুছে গেছে

ডেস্ক নিউজ / ৬৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

একসময় লঞ্চ, ট্রলার চলাচলে মুখরিত ছিল যে নদী, আজ সেখানে ফসলের মাঠ। ঠাকুরগাঁওয়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভক্তি নদের এখন এমনই দশা। শুধু ভক্তি নয়, গত ৫০ বছরে জেলার অন্তত ১৩ নদ-নদী মানচিত্র থেকে মুছে গেছে।

সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলার নদ-নদীর তালিকা অনুসন্ধানে নামে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তখনই ১৩টি নদীর অস্তিত্বের খোঁজ মেলে। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. গোলাম যাকারিয়া জানান, বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিহ্নিত স্থানীয় নদীর সংখ্যা মাত্র ১৪ টি। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো আরও ১৩ টি। এসব নদীর তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। নতুন করে প্রকল্প পেলে নদীগুলো দখলমুক্ত ও খননের কাজ শুরু হবে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, হারানো নদ-নদীর মধ্যে রয়েছে রশিয়া, হাতুরি, জলই, পুনর্ভবা, মরা গোগরা, চাড়াল বান্দ, নহনা, আমান-ধামান, কাহালাই, বাগমারা, সারডুবি, মরাটাঙ্গন ও ভক্তি। সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ নদী শুকিয়ে গেছে। সেগুলো এখন ফসলের মাঠ। কোথাও কোথাও ক্ষীণ স্রোতধারা জানান দিচ্ছে একসময় এখানে নদী ছিল। স্থানীয়রা জানান, একসময় এসব নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।

সদর উপজেলার ভেলাজান এলাকার স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৬৫) ভক্তি নদের তীরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ছোটবেলায় বাবার মুখে শুনেছি, এই নদে (ভক্তি) বড় বড় লঞ্চ চলত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন শুধু স্মৃতিচিহ্ন হয়ে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ