শিরোনাম
নতুন গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে কারা? প্রতিরোধে যা করবেন যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আংশিক দাবি পূরণ হয়েছে, আ. লীগের বিচার ত্বরান্বিত করুন, ডা. শফিকুর রহমান রোববার বন্ধ থাকবে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ গাইবান্ধায় আ.লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, খুলে নিয়ে গেছে জানালার গ্রিল-রড চিলমারীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার মার্কিন মধ্যস্থতায় বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান আরব সাগরে ভারতের যুদ্ধজাহাজ, বাড়ছে উত্তেজনা
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’, মোমবাতির আলোয় এসএসসি পরীক্ষা!

ডেস্ক নিউজ / ২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যেই শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষা শুরুই আগেই প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এতে ‍বৃষ্টিতে ভিজেই অনেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে।

ফলে ওইসব কেন্দ্রে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা দিতে হয়েছে মশিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২২ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭ হাজার ৯৭৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি।

এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ২৪টি, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য ৭টি এবং কারিগরি শাখার জন্য ৯টি কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার অধিকাংশ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পরেও বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। তবে কতটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আবার অনেকে কেন্দ্রের পরীক্ষা কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

ফলে মোমবাতির আলোয় শিক্ষার্থীদের প্রায় ১ ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি বলেন, ‘‘বাইরে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় কক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল।’’

আরেক পরীক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, ‘‘ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ঠাণ্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরেও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।’’

পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই দুর্ভোগ হতো না।’’

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতার বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ