ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্বপন দাস (১৭) নামে এক কিশোর নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে ঈদের কাপড় কিনতে চেয়েছিল রিপু আক্তার। তা না পেয়ে সেও অভিমানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধুবান্ধা নিরাশিপুকুর এলাকা ও জিয়াখোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী।
স্বপন দাস উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের নিরাশিপুকুর গুচ্ছ গ্রামের মদন দাসের ছেলে। অন্যদিকে রিপু আক্তার একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের ইজিবাইক চালক নুর ইসলামের মেয়ে। সে দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্বপনের বাবা মদন দাস জানান, দুপুরে বাড়িতে গোসল করতে আসে স্বপন। এরপর বিকেল ৫টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ দেখে আমাকে খবর দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে এসে দরজা ভেঙে দেখি – গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে স্বপন।
স্বপনের বন্ধুরা জানান, প্রতিবেশী মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল স্বপন। মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল সে।
অন্যদিকে স্কুলছাত্রী রিপুর মা ফরিদা বেগম জানান, গতকাল বুধবার সকালে ঈদের জন্য কাপড় কিনতে চেয়েছিল রিপু আক্তার। টাকা-পয়সা জোগাড় হলে কিনে দিতে চেয়েছিলাম। এ কারণে অভিমান করে বৃহস্পতিবার স্কুলে যায়নি সে। এরপর সন্ধ্যার আগে শয়নকক্ষে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।
টের পেয়ে ফাঁস খুলে ভ্যানে করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল স্বজনরা। রাস্তায় মারা গেলে তাকে ফিরিয়ে আনে পরিবারের লোকজন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, পৃথক দু’টি ঘটনাস্থলে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহালের প্রতিবেদন করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।