জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনের উপর হামলাকারীর প্রধান মো: লাল চাঁন নবাব (৩০) কে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কাশিডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর হোসেন দস্যুতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলার মো: আলম রব্বানী আলীর ছেলে মো: রনি হোসেন (২৪) বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্ররন করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার ভোরে রনি হোসেন তার বাড়িতে খালাতো বোনের বিয়ে শেষ করে মটরসাইকেলযেগে কয়েল কেনার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী রুপগঞ্জ গ্রামে যাচ্ছিলেন। এমন সময় আসামী চাঁন মিয়াসহ ২/৩ জন ব্যক্তি তাকে সর্বমঙ্গলা জামে মসজিদের সামনে পথরোধ করে আটক করে। আসামীরা রনির কাছে মটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা পয়সা কেড়ে নিতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় রনির চিৎকার শুরু করলে মসজিদের মোয়াজ্জেমসহ আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে চাঁন মিয়াকে ধারালো রামদা সহ আটক করলেও অপর ২/৩ জন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি মো: পয়গাম আলী বলেন, গ্রেফতারকৃত মো: লাল চাঁন উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: ফয়সল আমীনের উপর হামলাকারীদের প্রধান। সে মূলত বিএনপির কর্মী নয়, অন্য কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের মানুষ হতে পারে। সেদিন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী এ্যাড. মো: সৈয়দ আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা: টিএম মাহবুবুর রহমানের হয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়।