শিরোনাম
এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে তাদের কীভাবে ডাকে সরকার: নুর মাদক ও সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান শিক্ষার্থীদের স্যালুট দেওয়া সেই রিকশাচালকের হাতে দাঁড়িপাল্লা ‘বিপদে পড়লেই দলগুলোকে ডেকে ঐক্য দেখানোর চেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার’ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বর্ষপূতি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দূঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে: আনিসুর রহমান লাকু   একই দিনে হচ্ছে না স্থগিত এইচএসসির দুই পরীক্ষা; রুটিন প্রকাশিত প্রিজনভ্যানের ভেতরে কাঁদছেন পলক, একজন বললেন, ‘কাইন্দেন না’ সৈয়দপুরে বাইপাসে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত-১৯ নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমোদন, ভোটকক্ষে সরাসরি সম্প্রচার নয়
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

টিফিন দিতে পারিনি বলেই হয়তো বেঁচে গেছে আমার ছেলেটা

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

মাইলস্টোন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মোহাইমিন আরিয়ানের মা আশফিয়া মুমতাজ শিল্পী। আগের দিন স্কুলটিতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরদিন সকালে মাঠে দাঁড়িয়ে ওই ভবনটির ক্ষত চিহ্ন দেখছিলেন

ওই ভবন থেকে তার ছেলে কীভাবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছে তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ছেলের ব্যাগে টিফিন দেন। তবে সোমবার টিফিন দিতে পারেননি, তাই টিফিনের জন্য টাকা দিয়েছিলেন।

আশফিয়া মুমতাজ বলেন, ‘আমি ছেলেকে বললাম আজকে তোমাকে টিফিন দিলাম না, টাকা নিয়ে যাও, স্কুলে গিয়ে কিছু কিনে খাইয়ো। পরে ও যখন নিচে নামতেছে তখন ওর স্যার ওরে নিচে নামতে নিষেধ করেছিলেন। তখন ও বলছে আমার কোচিং আছে কিছু না খেলে তিনটা পর্যন্ত থাকতে পারবো না। পরে অনেক জোরাজুরি করার পর স্যার রাজি হলে ও নিচে নেমে যায়। পিছে পিছে ওর স্যার ও আরেক বন্ধুও নিচে নেমে যায়। ওরা নিচে নেমে একটু সামনে এগুতেই বিকট শব্দ শুনতে পায়।’

ভবনের সামনেই একটি গাছ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই যে দেখেন না গাছটা, ওই গাছটার কাছে যখন আমার আরিয়ান যায় তখন দেখে আগুন আর আগুন। চারিদিকে ধোঁয়া, তখন ও দৌড়ে স্কুলের বাইরে বের হয়ে যায়।’

কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলছিলেন, ‘আমি টিফিন দিতে পারিনি বলেই হয়তো বেঁচে গেছে আমার ছেলেটা। কিন্তু ওর কাছের বন্ধুরা মারা গেছে।’

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মাইলস্টোন স্কুলের সেই ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি থেকে কড়াকড়ি সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে সকালেই স্কুলটি থেকে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া পাহারা সরিয়ে নেয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের স্বজন, গণমাধ্যমসহ অনেকেই সেখানে আসতে শুরু করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ