জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নব গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ। তাকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন আছে ইতিবাচক আলোচনা, ঠিক তেমনি রয়েছে সমালোচনাও।
কদিন আগে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, পরনে দামি পাঞ্জাবি, হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে ডায়েরিতে কিছু একটা লিখছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ‘ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রথম দিনের মতো অফিস’।
ছড়িয়ে পড়া ওই ছবির ব্যাখাও দিয়েছেন এই এনসিপি নেতা। হান্নান মাসউদ জানান, এটা তার ব্যক্তিগত অফিস নয়, এনসিপির রাজনৈতিক কার্যালয়।
তবুও যেন সমালোচনা থামছেই না হান্নান মাসউদকে নিয়ে। রীতিমতো টেলিভিশন টকশোতেও সচ্ছল জীবন-যাপনের পেছনের গল্প জানতে চাওয়ার মতো প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হয় তাকে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে হান্নান মাসউদকে প্রশ্ন করা হয় হঠাৎ করে কিভাবে দামি গাড়ি পোশাক, ও বাড়ির মালিক হলেন। এই প্রশ্নের অবশ্য খোলামেলা জবাবও দিয়েছেন তিনি।
এনসিপির এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কদিন আগে অফিসের ছবিকে ব্যক্তিগত অফিস বলে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না হান্নান মাসউদ অবৈধভাবে আয় করেছে।
প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কিছুটা আবেগাআপ্লুত হয়ে পড়েন হান্নান মাসউদ। অভিযোগ করেন, তিনি কোনো সরকারি পদে না থাকলেও কেনো তার থেকে আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হয়।
দামি গাড়ি-পাঞ্জাবি কোথা থেকে আসছে- সেটা বলতে তিনি বাধ্য নয় উল্লেখ করে হান্নান মাসউদ বলেন, এখন টকশোতে অংশ নিলেও তাকে মিনিমাম তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাহলে মাসে ৩০টা টকশো করেল নব্বই হাজার টাকা আয় হয়ে যায়। আগে টিউশনি করে এই পরিমাণ অর্থ আয় করতে হলে প্রতিদিন মিনিমাম দুইটা টিউশনি করানো লাগতো।
এছাড়াও চলার পথে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীই তাকে সহযোগিতা করেন বলেও উল্লেখ করেন এই এনসিপি নেতা।