শিরোনাম
সংস্কারের কাজ নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দেব না: নাহিদ হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক অভিশাপ থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করো’: শবনম ফারিয়া জুয়ার আসর থেকে নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতার সাথে বিএনপি নেতা আটক দিনাজপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৩, প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ৫ শিশু হাসপাতালে মিঠাপুকুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ১৮ তলা থেকে পড়ে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেল ৩ বছরের শিশু! তিস্তা সেতুর উদ্বোধন আগামী ২৫ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থানে শহীদদের কবরে নিম্নমানের ইট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদা চেয়ে ‘কিলার গ্যাংয়ের’ চিঠি, বিএনপির নেতাসহ গ্রেফতার ৫
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

জোর করে বন্দুকের মুখে মুসলিমদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করছে ভারত; বিবিসির প্রতিবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট / ৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

ভারতের আসাম রাজ্যের ৫৮ বছর বয়সী সোনা বানু আজও আতঙ্কে কাঁপেন ২৫ মে’র সেই দিনের কথা ভেবে। তিনি জানান, ওইদিন স্থানীয় থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তের এক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে বন্দুকের মুখে তাকে ও আরও প্রায় ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন বা ঠেলে পাঠানো হয়। সোনা বানু বলেন, ‘আমাকে কিছু না জানিয়েই ওরা ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিলো। আমি দুই দিন না খেয়ে-না পানি খেয়ে হাঁটুজল ও পোকা-মাকড়ভরা মাঠে পড়ে ছিলাম।’ দুই দিন পর, তাকে একটি পুরোনো কারাগারের মতো স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যা বাংলাদেশে ছিল বলে মনে করেন তিনি।

পরবর্তীতে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাকে ও কয়েকজনকে সীমান্ত পার করে ফের ভারতে পাঠান। সেখান থেকে ভারতীয় কর্মকর্তারা তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। তবে কেন তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হলো এবং আবার ফেরত আনা হলো, তা আজও স্পষ্ট নয়।সোনা বানুর ঘটনা মোটেই বিচ্ছিন্ন বা একক কিছু নয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অন্তত ছয়টি ঘটনার কথা, যেখানে আসাম রাজ্যের বাসিন্দাদের ‘বিদেশি ট্রাইব্যুনালে’ বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করে সীমান্তে নিয়ে গিয়ে পুশ ইন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), আসাম পুলিশ বা রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

ভারত-বাংলাদেশে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বরাবর অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে আগেও উদ্বেগ ছিল। তবে কোনো রকম বিচার বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া রাতারাতি মানুষকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ঘটনা এখনও বিরল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে এসব ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, বরং ভারতের নিজস্ব সংবিধানিক ও আইনি কাঠামোর বিরুদ্ধেও যায়। এই বিতর্কিত কৌশল নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ