শিরোনাম
রাত পোহালেই এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করল সরকার জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: জামায়াত আমীর পীরগঞ্জে এনসিপির ৩ সদস্যের পদত্যাগ অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু: রংপুরের ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা ঢাকায় এনসিপি নেতা আখতারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপর হামলার প্রতিবাদে মিঠাপুকুরে বিক্ষোভ মিছিল কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে আম-লিচু উপহার পাঠালেন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার জার্মানি : প্রধান উপদেষ্টা যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে ইরান : ট্রাম্প
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: জামায়াত আমীর

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আন্দোলনে দু’হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কোন কোন এতিমের আমরা ভরণ-পোষনের দায়িত্ব নিয়েছি। মূলত,জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।

বুধবার বিকালে রাজধানীর কাফরুলে কাফরুল থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে। এ আন্দোলনে দু’হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কোন কোন এতিমের আমরা ভরণ-পোষনের দায়িত্ব নিয়েছি। মূলত,জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসীবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘ্নে- নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই । কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।

আমীরে জামায়াত বলেন,দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোন বিষয়টি নয়; বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকীমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বস্তুত, মোত্তাকীদের পথ পদর্শনের জন্যই পবিত্র কুরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃত পক্ষেই মোস্তাকি তারাই শুধু কুরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সকলকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ