দিনাজপুরে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপেক্ষিত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি উপেক্ষা করে শহিদ ও আহতদের বাদ দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম পূর্ব ঘোষণার বাইরে গিয়ে দিনাজপুর জিমনেসিয়াম মাঠে স্থাপিত মূল “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ” বাদ দিয়ে জজকোর্ট চত্বরে অবস্থিত একটি ভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সেখানে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আহত ২৫৩ জন জুলাই যোদ্ধা এবং আটটি শহিদ পরিবারের কেউই এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওইসব যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা দিনাজপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং এক ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, তাদের উপেক্ষা করে যারা অনুষ্ঠান করেন, তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।
জুলাই যোদ্ধাদের একজন বলেন, আমাদের বাদ দিয়ে যারা প্রোগ্রাম করে, তাদের সঙ্গে আমাদের যাওয়ার দরকার নাই। এটা শহিদদের অপমান।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন শহিদ মিনারে ছুটে যান। সেখানে জেলা প্রশাসক অনুতপ্ত মনোভাব প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান জুলাই যোদ্ধাদের কাছে। পরে তিনি তাঁদের সঙ্গে নিয়ে শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
জুলাই যোদ্ধারা জানান, এ দিনটি শুধু প্রশাসনের আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির দিন। এ ধরনের অবজ্ঞা তারা মেনে নেবেন না।