শিরোনাম
গাইবান্ধায় মাইক্রোবাসের টায়ারে মিলেছে ১১ কেজি গাঁজা চাঁদাবাজকে ধরে গণধোলাই দিল জনতা; পুলিশে সোপর্দ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ডিবি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ, রংপুরের এক যুবকসহ গ্রেপ্তার দুই প্রাথমিকের সব প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত, প্রজ্ঞাপন জারি হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রদলের হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা পার্বতীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে যুবদল-এনসিপির সংঘর্ষে ছয়জন আহত নিষিদ্ধ না করে নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি রূপে ফিরবে আ.লীগ: রাশেদ খাঁন সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ সৈয়দপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। এনসিপিতে চাঁদাবাজ, তেলবাজ ও সেলফিবাজ নেতাদের ঠাঁই হবে না: হাসনাত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরতে চায় বিএনপি-জামায়াত
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

জুলাই কেন ‘মানি-মেকিং মেশিন’ হবে— আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেছেন, জুলাই কেন ‘মানি-মেকিং মেশিন’ হবে। কিন্তু ‘আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রবিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা তার নেই। অন্যকে অসম্মান বা কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা নেই বলেও তিনি জানান।

উমামা ফাতেমা বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই গিয়েছি। ছাত্র ফেডারেশন করার সময় অনেকবার দেখেছি। ৩০-৪০ জনের মিছিলের সময় বলতাম, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’। কিন্তু কখনও ভাবিনি, এই স্লোগান দিতে দিতে শিশুসহ সবাই রাস্তায় নেমে জীবন দেবে। জুলাই-আগস্টে সাধারণ মানুষকে ফাইট করেছি। এ কারণে এক বছর ধরে টিকে ছিলাম, কারণ আমরা একটা স্বপ্ন দেখছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আর পারছিলাম না। দেশকে আরও বড় কিছু দেওয়ার চিন্তা থেকে ফেডারেশন থেকে সরে গিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করি। তখন আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আমাকে ডাকতো না। কারণ হতে পারে, আমি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিতে বলেছিলাম।

৫২ বা ৬২ বা ১৫৮ জন সমন্বয়ক হয়েছে উল্লেখ করে উমামা ফাতেমা বলেন, এগুলো সেভাবে ফাংশন করছিল না। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দিচ্ছিল। তবে সমন্বয়ক টার্মটা সে সময় দরকার ছিল, যাতে সবাইকে কানেক্ট করা যায় না। আমার কাছে মনে হয়েছে, সমন্বয়কের চেয়ে অন্যদের সহযোগিতা বেশি পেয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে অনেক র‌্যালি করেছি, গণভবনে গেছি। এরপর অনেক কাহিনী চলেছে। পরেরদিন দেখি, সমন্বয়ক পরিচয়ে একেকজন একেক জায়গায় দখল করেছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও দখল করছে। আওয়ামী লীগের রক্ষী বাহিনী জায়গায়, জায়গায় গিয়ে দখল করে। আমার মনে হচ্ছে যে, এখন কি রক্ষী বাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে নাকি। আস্তে আস্তে সব জায়গায় দখল করে ফেলবে।

তার ভাষ্য, সমন্বয়ক বাহিনী হয়তো সেভাবে অস্ত্র দিয়ে হয়নি। কিন্তু তখন পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে আমার মনে হয়েছে, এখন আসলে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মটার আসলে দরকার কি? এটা তো শুধু ছাত্রদের। এখন দরকার, সবাইকে একোমোডেট করা যায়, সেটা ভাবা উচিৎ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাদের আর কিই বা করার আছে। এটা আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে যাওয়ার কারণে অনেকগুলো ডিমেরিট আমরা ভোগ করছি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওইগুলো বলার কারণেই আমি প্রচুরি শত্রু বানায়ে ফেলছি। এত মানুষ আমাকে খারাপ ভাবা শুরু করে যে, আমি রীতিমতো তবদা খেয়ে যাই। পরে জেলায় জেলায় গিয়ে দেখেছি, অনেক ভালো ভালো ছেলে কিছু করতে চায়। ওরা দেশটাকে পুনর্গঠন করবে।

ছাত্র ফেডারেশন ছেড়ে দেওয়ার পর তাকে এড়িয়ে চলতো জানিয়ে উমামা বলেন, ‘তারা মেসেজ সিন করতো না। বিশেষ করে ছাত্র শক্তি কোরামের লোকজন। আমি সিনিয়র হ্ওয়ায় সবাইকে চিনতাম। ছাত্র ফেডারেশন ছেড়ে দিলে তারা আমার প্রতি আগ্রহী হয়, গুরুত্ব হই তাদের কাছে। তখন দেখলাম, জুলাই আন্দোলনে আমার অবদান অনেক বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে আচরণ করে মনে হয়, বানের জলে ভেসে আসছি। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আরও বেটার কিছু করতে পারতাম। জুলাই অনেক বড় অভিজ্ঞতা। মানুষ অবিশ্বাস্য লড়াই করেছে। আমার মাথায় আসেইনি যে, এটা দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়? আমি মুখপাত্র হওয়ার পর আবিষ্কার করছি, এটা দিয়ে অনেকে অনেক কিছু করছে।’

টেন্ডার-তদবির বাণিজ্য করছে, ডিসি নিয়োগ করছে। এগুলো অহরহ করেছে। এর আগে এটা নিয়ে ধারণা ছিল না। জুলাই আন্দোলন কেন মানি মেকিং মেশিন করব। আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।

উমামা ফাতেমা বলেন, অনেকে বলেন যে, আমি কত হাজার কোটি টাকা কামাইছি? তাদের আমি বলতে পারি, আমার একটি ভালো জীবন আছে। ভালো পরিবারের সদস্য। এত খারাপ অবস্থা আসে নাই। আমার স্কলারশিপের জন্যও প্রয়োজন নাই। আমার পরিবারের সাপোর্ট আছে। তারা চায়, আমি দেশের জন্য কিছু করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ