জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে বৃহৎ পরিসরে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে দলটি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব কমূর্সূচির কথা জানানো হয়।
বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ৩০ জুন এবং শেষ হবে ৩ আগস্ট। এ সময়ে জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, শহীদ পরিবারকে সম্মাননা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনীর মতো নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুন রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে বিএনপির ৩৬ দিনের এ কর্মসূচি। এরপর বিএনপির উদ্যোগে ১ জুলাই বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ জুলাই দেশব্যাপী (জেলা পর্যায়ে) ড্যাবের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি। ৫ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট। ৯ জুলাই বিএনপি নেত্রী ফারজানা শারমিন পুতুল ও ‘মায়ের ডাকের’ সানজিদা তুলির তত্ত্বাবধায়নে সেমিনার।
১১ জুলাই জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১২ জুলাই ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতবিনিময় সভা। ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে অনুষ্ঠান।
১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। ১৬ জুলাই ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ ওয়াসিম ও শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্র সমাবেশ।
১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে স্মরণসভা। ১৮ জুলাই ওলামা দলের উদ্যোগে দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল, দেশব্যাপী মৌন মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারন।
১৯ জুলাই বসুন্ধরার আইসিসিবি কনভেনশন সেন্টারে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভা। ২০ জুলাই সবুজ পলবে স্মৃতি অম্লান (শহীদ জিয়া উদ্যান ও সারাদেশে বৃক্ষরোপণ), কৃষক দল ও আমরা বিএনপি পরিবার এর উদ্যোগে শহীদ জিয়া উদ্যান ও সারাদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। গাছে শহীদদের নাম লেখা থাকবে। ২১ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান নিয়ে আলোচনা সভা। ২২ জুলাই মহিলা দলের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান শীর্ষক কর্মসূচি।
২৩ জুলাই শাহবাগে ‘জুলাইয়ে লাশের সারি’ শীর্ষক প্রতীকী স্মৃতিস্তম্ভ প্রদর্শন এবং ২৪ ও ২৫ জুলাই দৃক গ্যালারিতে ফ্যাসিস্ট কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
২৬ জুলাই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘রোড টু জুলাই’ শিরোনামে গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ২৭ জুলাই বিভাগীয় পর্যায়ে গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালিত হবে।
২৮ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে পানি ও ডোবা পরিষ্কারের কর্মসূচি এবং মায়ের ডাক ও আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। ২৯ জুলাই আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাকের উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।
৩০ জুলাই ঢাকা জেলা ও মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সাভার-আশুলিয়ার লাশ পোড়ানোর স্থানে ‘নারকীয় জুলাই’ শীর্ষক গণসঙ্গীত অনুষ্ঠান। ৩১ জুলাই আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে সারাদেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালিত হবে।
এছাড়া ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, রামপুরা ও যাত্রাবাড়ীসহ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম স্থানগুলোতে জনসভা। ২ আগস্ট রাজধানীর নয়াপল্টনে বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ে ‘জনতার জুলাই-আগস্ট, জনতার কারফিউ’ শীর্ষক পথনাটক।
৩ আগস্ট ছাত্রদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করা হবে। ৪ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ কর্মসূচি। সর্বশেষ ৬ আগস্ট বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয় মিছিল করা হবে।