শিরোনাম
আওয়ামী লীগ না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে : জয় নীলফামারীতে কিশোরগঞ্জে এতিমের বরাদ্দের চাল শিক্ষকের পেটে হাকিমপুরে জামায়াতের নির্বাচনী যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত  চালু হলো বহু প্রতীক্ষিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হয়রত আলী গ্রেফতার হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধ, হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন চাল শুধু মানুষের জন্য নয়, পশু ও অন্যান্য খাদ্যেরও ব্যবহার: আলী ইমাম মজুমদার ‘এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’- আদালত চত্বরে পলক তোর বাবা টাকা দিতে পারে না, তোকে পরীক্ষা দিতে হবে না, বলে বের করে দেয়
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের কারাদণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ২৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

অকারণে জুমার নামাজ ছেড়ে দিলে মুসলিম পুরুষদের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা মোটা অংকের জরিমানার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্য সরকার।

রাজ্যটি বর্তমানে শাসন করছে দেশটির রক্ষণশীল প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পাস)।

সোমবার রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শরিয়াহ ফৌজদারি অপরাধ (তাকজির) আইন অনুযায়ী অপরাধীদের সর্বোচ্চ তিন হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬ হাজার টাকা) জরিমানা কিংবা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

তেরেঙ্গানু রাজ্য নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মুহাম্মদ খালিল আবদুল হাদি সতর্ক করে বলেন, “এমনকি একবার জুমার নামাজ ছেড়ে দিলেও তা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।”

এর আগে টানা তিন সপ্তাহ জুমার নামাজে অনুপস্থিত থাকলে শাস্তির বিধান ছিল। তিনি আরও বলেন, “একটি বিষয় মনে করিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, জুমার নামাজ শুধু ধর্মীয় প্রতীক নয়, বরং মুসলমানদের আনুগত্যের প্রকাশ। তাই দণ্ড দেওয়া হবে কেবল শেষ উপায় হিসেবে, যখন কেউ বারবার এই বিষয়টি উপেক্ষা করবে।”

রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মানুষকে এ বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিতে মসজিদগুলোতে ব্যানার টানানো হবে। সেইসঙ্গে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জনগণের অভিযোগ অথবা টহল দলের মাধ্যমে।

এটি রাজ্যের ক্ষমতাসীন পাস দলের বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ, যারা মালয়েশিয়ায় শরিয়াহ আইনের কঠোর প্রয়োগ চায়। দলটি দেশের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এবং ১৩টি রাজ্যের মধ্যে চারটিতে শাসন করছে এটি। অতীতে দলটি হুদুদ আইন প্রবর্তনেরও চেষ্টা করেছে, যেখানে চুরির শাস্তি অঙ্গচ্ছেদ এবং ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছোড়ার মতো শাস্তির বিধান ছিল। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় দ্বৈত আইনি কাঠামো রয়েছে- মুসলিমদের জন্য ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে শরিয়াহ আইন, পাশাপাশি সিভিল আইনও কার্যকর। তিন কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জাতিগত মালয় (যাদের আইনের দৃষ্টিতে সবাই মুসলিম), বাকি অংশে চীনা ও ভারতীয় সংখ্যালঘু রয়েছে।

গত নভেম্বরেও জোহর রাজ্যের শীর্ষ ইসলামি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মুসলিম পুরুষদের জুমার নামাজে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত এক ডজনেরও বেশি শরিয়াহভিত্তিক রাজ্য আইন বাতিল করে দেয়, যা ইসলামপন্থিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এতে দেশব্যাপী শরিয়াহ আদালতের কর্তৃত্ব দুর্বল হতে পারে। সূত্র: মালয় মেইল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ