জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিকে’ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই সাথে দুঃখপ্রকাশ করেছে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (১ জুন) রাতে রংপুর স্টেডিয়ামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে বৈঠকে শেষে দুই সংগঠনের নেতারা গণমাধ্যমে কথা বলেন।
গতকাল রাত ৯টার দিকে হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে বৈঠক করতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্যসচিব রহমত আলী, জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, সদস্যসচিব জামিল আহমেদসহ সংগঠনের ১৫-২০ সদস্য এবং বিএনপির রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান (সামু) ও সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন।
এর আগে গত ৩১ মে রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনী।
শনিবার গভীর রাতে রংপুর শহরের পায়রা চত্বরে বিএনপির তিনজন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতার সঙ্গে কথা বলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম। মূলত রোববার রাতের ঘটনা নিয়ে ডাকা হয় এ বৈঠক।
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সেনা হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা আনন্দিত এনসিপি ও বিএনপির প্রতিনিধিরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এখানে এসেছেন। তাদের যেসব কর্মী ও সহযোদ্ধা আবেগে হোক বা যেকোনো কারণেই হোক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিছু কর্মকাণ্ড করেছিলেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করার সুযোগ দিয়েছিলাম। তারা নিজে থেকে এসেছেন। তারা এ রকম আর কিছু করবেন না ভবিষ্যতে।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করব, তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেটা নিয়মের মধ্যে পড়ে সেভাবে চালিয়ে যাবেন। কিন্তু কোনো ধরনের ভাঙচুর, কোনো কিছু নষ্ট করা, মবের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে বাধা সৃষ্টি করা এসব কর্মকাণ্ড শুধু রংপুরে কেন, বাংলাদেশের কোথাও করার সুযোগ নেই।”
পরে বিএনপির রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান (সামু) সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিন আগে রংপুরে একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের অঙ্গ সংগঠনের দুজন সদস্য এই ভুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা মনে করি, তারা যেহেতু ভুল বুঝেছেন, ভবিষ্যতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটাবেন না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন: ‘২৯ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল। ’
‘জাতীয় পার্টির ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ এর ওপর হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাসায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনায় রংপুরে উত্তেজনা বিরাজ করে।’
ইমতি বলেন আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান থেকে নিশ্চিত করেছি, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রংপুরে যেন আর না হয়, এ জায়গা থেকে সচেতন থাকব।’
ইমতি আরও বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে নিশ্চিত করেছি, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রংপুরে যেন আর না হয়, এ জায়গা থেকে সচেতন থাকব। কিন্তু কেউ যদি রংপুরকে অস্থিতিশীল করতে উঠে পড়ে লাগে, তাহলে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে সবসময় আমরা প্রস্তুত আছি।