জাতীয় পার্টির (জাপা) দেবর-ভাবির লড়াই ফের নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। জিএম কাদেরকে আর দলটির নেতৃত্বে রাখতে চান না এরশাদ পত্নী রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির (জাপা) দেবর-ভাবির লড়াই ফের নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। জিএম কাদেরকে আর দলটির নেতৃত্বে রাখতে চান না এরশাদ পত্নী রওশন এরশাদ।
দলটির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদন ইসি সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন সংখ্যা-১২) দশম জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত মহাসচিব হিসেবে আমি কাজী মো. মামুনুর রশিদ আপনাকে এই মর্মে অবহিত করতে চাই যে, বিগত সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আমরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
এখন আমরা দেশবাসীর আগামী দিনের গণতন্ত্র সুসংহত করার আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছি।
আপনাকে অবহিত করতে চাই যে, ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেওয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
তখন পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্য নিয়ে তৎকালীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গংরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। তখন শেখ হাসিনা তার স্বাক্ষরে জাতীয় পার্টির ২৬ জনকে মনোনয়ন প্রদান করেন।
এই সব প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি যখন বিলুপ্ত প্রায়- তখন পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পার্টির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বেগম রওশন এরশাদ-জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা আহ্বান করেন।
আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পার্টির বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতভাবে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে এবং মহাসচিব মুজিবুল
হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে সাংগঠনিক নিয়মে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই বর্ধিত সভায় ৯ মার্চ-২০২৪ তারিখে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই বিগত সরকারের একান্ত আজ্ঞাবহ জাতীয় পার্টির একটি অংশকে তাদের গৃহপালিত বিরোধীদল হিসেবে সংসদে রাখার জন্য আমাদের বৈধ কাউন্সিলে নির্বাচিত কমিটিকে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন না দিয়ে তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, অতীতের সিদ্ধান্ত অতীতে হয়েছে৷ তাদের আবেদন বর্তমানে কতটুকু যৌক্তিক, তা ইসির আইনি ক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করে আমরা দেখবো।
তারপর আইনগত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।