গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষ্যে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতার ছবি নিয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর তোপের মুখে সেগুলো সরিয়ে দেয় প্রশাসন । এবার সেই স্থানে খালেদা জিয়া-সুখরঞ্জনের ‘বয়ান’ ও স্কাইপ কেলেঙ্কারির তথ্যচিত্র তুলে ধরেছে ছাত্রশিবির।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে এমন চিত্র দেখা যায়। আজ সেই একই দেওয়ালে ছাত্রশিবির আবার যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’, জিওফ্রে রবার্টসন ও সুরঞ্জন বালির মন্তব্য এবং ভুয়া স্বাক্ষীদের জবানবন্দি সংবলিত বিভিন্ন পোস্টার টাঙিয়েছে।
এ বিষয়ে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক মু. সাজ্জাদ হোসেন খান বলেন, বিচারক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এটি নিয়ে আমাদের স্ট্যান্ডই হচ্ছে আমরা সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম, এবং এখনো আছি। আমরা আজকে প্রদর্শনীতে দেখিয়েছি কীভাবে ‘স্কাইপি কেলেঙ্কারি’র মতো একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজও প্রাসঙ্গিক।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে হাসিনা যে একনায়কতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট চরিত্র ধারণ করেছে, তার পেছনে এই বিচারক হত্যাকাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, সরকার একের পর এক মিথ্যা রায় ও দমন-পীড়নের পথ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক আয়োজনে প্রথমে প্রদর্শিত হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, নিজামী, সাঈদী, মুজাহিদ, মীর কাশেম, কামরুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি। সেটাকে কেন্দ্র করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর তীব্র বিক্ষোভের মুখে এগুলো অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম এবং তার নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল টিম ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে।