বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসা সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রোববার (২০ জুলাই) জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি জানান, জামায়াত আমিরের চিকিৎসার জন্য যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। পোস্টে সেনাপ্রধানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন। আমিন।
তিনি লেখেন, অসুস্থ হওয়ার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশে অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন। হাসপাতালে স্বল্প সময়ে থাকাকালীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদসহ নেতাদের একটি টিম, খেলাফত মজলিসের আমির হজরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের এবং খেলাফত মজলিসের অন্যতম সিনিয়র নেতা আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত আন্দোলন, এনসিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সম্মানিত নেতাদের তারাও সরাসরি খোঁজখবর নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান দলটির আমির শফিকুর রহমান। পরে পাশে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। কিছুক্ষণ পর আবারও বক্তব্য দিতে গিয়ে পুনরায় অসুস্থ হয়ে গেলে তিনি বসেই বক্তব্য দেন। পরে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় যান।