শিরোনাম
সত্য কথা বলার কারণে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি মামলা করেছে: ফয়জুল করীম সরকারি জমি দখল করে বৈষম্যবিরোধী তিন ছাত্রনেতার রেস্তোরাঁ রংপুরের হারাগাছে র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে ৮০ বোতল ফেনসিডিল, মোটরসাইকেলসহ একজন গ্রেফতার চাল নিতে আসা দিনমজুরকে ইউএনওর লাঠিপেটা, ভিডিও ভাইরাল আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মানহানি মামলা হয়: সারজিস তারাগঞ্জে শ্বশুর-জামাইকে পিটিয়ে হত্যা: রূপলালের মেয়ের বিয়েতে ১ লাখ টাকা অনুদান উপজেলা প্রশাসনের ভারতে নিখোঁজ শিশু, লাশ মিলল লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলেমিশে: তারেক রহমান প্রায় ৪ মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু কিশোরগঞ্জে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত
মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন

জামায়াতের আয় বিএনপির প্রায় দ্বিগুণ

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে আয় দেখানো হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। আর দলটি ব্যয় দেখিয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) গত বছরের আর্থিক আয়-ব্যয় বিবরণী জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী।

গত ২৭ জুলাই ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয় বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালে তাদের মোট আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা, আর ব্যয় হয়েছে চার কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। ফলে দলের হাতে বর্তমানে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

২৭ জুলাই হিসাব জমা দেওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, বিএনপির আয়ের প্রধান উৎস ছিল সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই ও পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান। অন্যদিকে ব্যয়ের বড় অংশ গেছে কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট-পোস্টার মুদ্রণ, ব্যক্তিগত ও দুর্যোগকালীন সহায়তার পেছনে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত হিসাব বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত পঞ্জিকা বছরে জামায়াত কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা থেকে আয় করেছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ টাকা। কার্যনির্বাহী কমিটি অথবা উপদেষ্টা পরিষদের চাঁদা অথবা অন্যান্য চাঁদা ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৯ টাকা।

এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি অথবা সংস্থার কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ টাকা। দলের পত্রিকা, সাময়িকী, বইপুস্তক বিক্রি থেকে আয় ৯ লাখ ১১ হাজার ২৯০ টাকা। অন্যান্য চাঁদা থেকে দলটি আয় করেছে ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৯ টাকা এবং আগের বছর স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৯১ টাকা। মোট আয় ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের বেতন-ভাতা ও বোনাসে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৩ টাকা।

আবাসন ও প্রশাসনিক বাবদ ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ টাকা। ডাক, টেলিফোন, ইন্টারনেট, কুরিয়ার সার্ভিস, পত্রিকা বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬ টাকা। আপ্যায়নে ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬২ টাকা।

এ ছাড়া প্রচারণা ও পরিবহনে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৫৬৩ টাকা। যাতায়াত বাবদ খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। জনসভা, পথসভা, ঘরোয়া বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ টাকা। প্রার্থীদের অনুদান দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা।

ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০ টাকা। অন্যান্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত হিসাব বিবরণী থেকে আরো জানা গেছে, জামায়াতের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ