রংপুরের মিঠাপুকুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী যুবক সহ তার পরিবার। মিথ্যা মামলায় ২০ দিন জেল খেটে বাড়িতে ফেরার পর আবারো নতুন করে ওই যুবকের নামে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় স্হানীয়রা সহ প্রতিবেশীরা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক উক্ত মামলা প্রতাহারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে,মিঠাপুকুর থানাধীন বালারহাট ইউনিয়নের গাড়ালচৌকি গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম, ছামিউল ইসলাম (৩৫), তিনি একই গ্রামের ছপিজল মিয়ার পুত্র।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার গাড়ালচৌকি গ্রামে ছকমল হোসেনের পুত্র আক্কাস আলীর (৪২) সঙ্গে চাচাত ভাই ছামিউল ইসলামের, জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় জমি নিয়ে উভয়ের মামলা আদালতে চলমান। মামলা চলমান অবস্থায় আক্কাস আলী, ছামিউলকে দমাতে একের পর এক মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ থানায় দায়ের করেন। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে পুলিশ তদন্ত করে মিথ্যা বলে প্রমানীত হয়। সর্বশেষ ১১ জুলাই, রাত্রি আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে, বালারহাট গাড়ালচৌকি জোড়াপুল সংলগ্ন, আক্কাস আলীকে, কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ওঠে ছামিউলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় আক্কাস আলী, ছামিউল সহ তার পিতা ছপিজল মিয়া এবং ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন (১৯), এর বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। যে মামলায় ছামিউল ২০ দিন কারাভোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল জানান, জোড়াপুল নামক স্থানে আক্কাস আলীকে মারধরের ঘটনাটি সাজানো। যখন আমরা খবর পাই,তখন ছামিউল বাড়িতে ছিল। তাদের দাবি,সম্ভবত আক্কাস আলী, নিজের শরীর নিজে অথবা কাউকে দিয়ে রক্তাত্ত জখম করেছে। মোত্তর্জা বলেন, ছামিউলকে ফাঁসাতে এটা নাটক হতে পারে। মারামারি হলে আমরা জানতাম। গ্রামের কেউ দেখেনি। পরে শুনি মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছামিউল বলেন, আক্কাসের একটি সাজানো মামলায় ২০ দিন কারাবরণ করলাম। এখনো আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছি। এরমধ্যে আবারো আক্কাসের স্ত্রী লাভলী বেগম, কথিত জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে আবারো মামলা করার চেষ্টা করছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই। তবে অভিযুক্ত আক্কাস আলী বলেন, ভরা দুপুরে আমার স্ত্রীর মাথায় কোপ দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি কোর্টে মামলা করেছি। আর পূর্বে আমাকে মারধরের ঘটনা ছামিউল ঘটিয়েছে। নিজের মাথা নিজে কেউ ফাটাতে পারেনা।
এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি কয়েকদিন পূর্বে যোগদান করেছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা না পেলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।