শিরোনাম
আ. লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও জঙ্গি সন্দেহে তুলে নিয়ে যাওয়া দুই খুবি শিক্ষার্থী মুক্তি পেলেন ৫ বছর পর কমিটি দিতে চাঁদা দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার, ফাঁসের পর বললেন ‘মজা করেছি’ আপনারা বেনজির-ডিবি হারুন হইয়েন না : হাসনাত পাটগ্রামে ১৬ বছর বয়সী কিশোর নিখোঁজ, সন্ধানের জন্য পরিবারের আহ্বান গত ৬ মাসে গণপিটুনিতে নিহত ৬৭ জন, ধর্ষণের শিকার ৪৭৬ দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষায় বহিষ্কার ৩, অনুপস্থিত ১৫৫৫ শেখ হাসিনা অপরাধ করেননি, উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন: আইনজীবী আমির হোসেন গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ড্রেজার জব্দসহ গ্রেপ্তার ৬ গোবিন্দগঞ্জে বাঁশঝাড় থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

জঙ্গি সন্দেহে তুলে নিয়ে যাওয়া দুই খুবি শিক্ষার্থী মুক্তি পেলেন ৫ বছর পর

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

জঙ্গি সন্দেহে তুলে নেওয়ার ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন নুর মোহাম্মাদ অনিক এবং মোজাহিদুল ইসলাম। সোমবার (০৭ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

সহপাঠীরা জানান, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ওই দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ১৭ দিন অজানা স্থানে রেখে তাদের নির্যাতন করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তাদের বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই দিনই তাদের খুলনার কৃষক লীগ কার্যালয় ও আড়ংঘাটা থানার গাড়ির গ্যারেজে বোমা হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে একে একে তাদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করে পুলিশ। সেই থেকে পাঁচ বছর তারা কারাবন্দি ছিলেন।

সহপাঠীরা আরও জানান, নুর মোহাম্মদ অনিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মো. মোজাহিদুল ইসলাম পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভ্যুত্থানের পরে তাদের মুক্তির দাবিতে খুবি ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন সহপাঠী, রুমমেট, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা। পরে ক্যাম্পাসে মানববন্ধনও করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রদের আইনজীবী আকতার জাহান রুকু বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস, দুটি মামলায় জামিন এবং সোনাডাঙ্গা থানার দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজা হওয়া দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়।

আদালত গত সপ্তাহে জামিন মঞ্জুর করেন। আশুরার ছুটি থাকায় তিন দিন পর আদেশ কারাগারে এসে পৌঁছায়। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জঙ্গি নাটকে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হওয়া উচিত। দীর্ঘদিন জেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। তাদেরকে বরণ করার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল খুলনা কারাগারের ফটোকে অবস্থান করেছিল। এই দুই শিক্ষার্থীর ছাত্র জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

কারাগার থেকে মুক্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ