রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাছাকাছি এলাকায় সাংবাদিক মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসাইনকে (ওয়াদুদ) চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে মোহাম্মদপুর থানায় গেলে তার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন— এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই আনারুল এবং পুলিশ সদস্য মাজেদুর রহমান ও মো. নুরুন্নবী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানিয়েছেন, তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সকালে পুলিশ সদর দফতর থেকে বিষয়টির খোঁজখবর নেয়া হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলো: ইউসুফ (২৬), সিয়াম (২৩) ও জহুরুল (২২)। মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এদের মধ্যে ইউসুফ মূল ছিনতাইকারী।
উদ্ধারকৃত মোবাইল
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ছিনতাইয়ের শিকার হন শাখাওয়াত হোসাইন। মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র তিন মিনিট হাঁটা দূরত্বে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী। পরে থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি।
ছিনতাইয়ের ঘটনা ও পুলিশের অসহযোগিতার পর ওয়াদুদ ফেসবুকে পুলিশের আচরণ তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন। এরই মধ্যে সেই পোস্ট দিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি লেখেন, রাতে মোহাম্মদপুর থানার পাশ দিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী এসে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। চাপাতির কোপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান, তবে আঘাত গুরুতর নয়। শাখাওয়াত হোসাইন জানান, ঘটনার পাঁচ মিনিটের মাথায় তিনি মোহাম্মদপুর থানায় যান। কিন্তু থানায় গিয়েই অপ্রত্যাশিত আচরণ পান তিনি।
ছিনতাইকারীদের দেখিয়ে দেয়ার পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এএসআই আনারুল তাদেরকে আটক করেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানের কক্ষে গেলে ওসি বলেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি। আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরবেন, ছিনতাই তো হবেই!’
মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসাইন বণিক বার্তায় সহসম্পাদক হিসেবে কর্মরত।