আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ছিলেন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। দলটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ছাত্রদলের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রদলেরও প্রচার সম্পাদক হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা শহরের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে। এই কলেজটিতে সদ্য ঘোষিত কমিটির প্রচার সম্পাদক হয়েছেন সাকিব আল-হাসান রাফি। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কলেজ কমিটিরও প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
বিষয়টি জানাজানি হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সঙ্গে উঠেছে প্রশ্ন—রাজনীতিতে আদর্শের জায়গা কি তবে ফুরিয়ে এসেছে?
গত ৬ মে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কলেজ ছাত্রদলের ১০ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি করা হয় মো. রবিউল ইসলামকে, যিনি আগে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে । সাধারণ সম্পাদক আসিবুল হক, যিনি রাজনীতিতে আগে কখনোই সরব ছিলেন না। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেছে পদবঞ্চিতরা।
এ কমিটিতে সবচেয়ে বিতর্কিত নাম সাকিব আল-হাসান রাফি। কলেজ ছাত্রলীগের ২০২৩ সালের কমিটিতে তিনি ছিলেন প্রচার সম্পাদক, আর ২০২৫ সালের ছাত্রদল কমিটিতেও ঠিক একই পদে তার নাম। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাফসান আহমেদ রাকিব ফেসবুকে লেখেন, “মজার ব্যাপার হলো, একজন ছোট ভাই ছাত্রলীগে যে পোস্টে ছিল, ছাত্রদলেও সেই পোস্টেই আছে—শুধু সংগঠনের নামটা বদলে গেছে।”
ঘটনাটি নিয়ে কলেজ ছাত্রদলের পদবঞ্চিত কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন এবং কমিটি প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপু সহ আরও দুই নেতা।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাকিব আল-হাসান রাফি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমি কখনো ছাত্রলীগ করিনি, জোর করে নাম দেওয়া হয়েছিল। আমি সবসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী বলেন, “আমরা জেনে-বুঝেই কমিটি দিয়েছি, তবে অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”