কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক মাদ্রাসার নামে জিআরের চাল বরাদ্দ থেকে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এতে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশের হুমকিরও অভিযোগ ওঠেছে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মোঃ ওমর ফারুক মেসবাহ ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক।
ভুক্তভোগী হাফের ওমর ফারুক পাত্রখাতা দারুল ইখলাছ নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় কর্মরত রয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই সাংবাদিকের নাম আমিনুর রহমান। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগে ওমর ফারুক জানান, উপজেলার পাত্রখাতা দারুল ইখলাছ নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাদ্রাসা সংস্কারের জন্য জি আররের চাল বরাদ্দের জন্য একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পাত্রখাতা দারুল ইখলাছ নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এক টনসহ উপজেলার মসজিদ, মাদ্রাসা, কবর স্থান মিলে মোট ১৩ টি প্রতিষ্ঠানের স্বপক্ষে ১৩ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ৩০জুনের আগে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান চাল উত্তোলন করে মসজিদ,মাদ্রাসা ও কবর স্থানের মেরামতের কাজ সম্পন্ন করেছে।কাজ সমাপ্তির ১ মাস পর হঠাৎ কুড়িগ্রাম জেলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি মোঃ আমিনুর রহমান নিজ পরিচয়ে ০১৭১৯২৫৭৩৪১ মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বরাদ্দকৃত জি আর চাউলের উত্তোলনকৃত অর্থ থেকে ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় আমিনুর বলেন বরাদ্দ পাশ করতে গিয়ে ওনার নাকি ডিসি, এসপি, ইউএনও সহ বিভিন্ন দফতরে টাকা দিতে হয়েছে।
এক পর্যায়ে মুহতামিম মো. ওমর ফারুক মেসবাহ দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেয়া আমিনুর তাকে প্রাণনাসের হুমকিসহ মাদ্রাসা উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। এজন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার নিজের এবং পরিবারের জন্য নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিক আমিনুর রহমান বলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগ এটা মিথ্যা, মুলত জিআরের চাল তুলে স্বল্প দামে বাজারে বিক্রি করে নিজস্ব কাজে ব্যবহার করেছে৷ এতিম বাচ্চাদের দেয়নি। এছাড়াও ওই মুহতামিমের থেকে ৫০ হাজার টাকা পান বলে জানান এই সাংবাদিক। হত্যা ও নারী নিযাতনসহ একাধিক মামলা থাকায় তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
পাত্রখাতা দারুল ইখলাছ নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. ওমর ফারুক মেসবাহ জানান, ওই সাংবাদিকের দুইটি দাবি ভুয়া। ওনার সাথে কোনোদিন পরিচয় ছিল না। ওনার সাথে গত ২৮ তারিখ থেকে গালিগালাজ নিয়ে পরিচয়। জীবনে দেখি নাই, নাম্বারও নাই ওনার। আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। আমি নিজে আবেদন করেছি সরকারি ভাবে দেখে বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা কাজ করেছি চাইলে আপনারাও দেখে যেতে পারেন।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, অভিযোগ জমা হয়েছে শুনেছি,তবে এখনো আমার হাতে আসেনি।