গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রার সমাবেশে ফের ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগ-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে শুরু হয়ে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৩:২০ মিনিট) এই সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে এনসিপি নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে।
এদিন পুলিশের সঙ্গে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। দুপুর দেড়টার দিকে এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকালের দিকে পদযাত্রার সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃষ্টির চলতে থাকায় নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমাবেশস্থলে ছিল না। এই সুযোগে হেলমেট পরে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে ভাঙচুর চালায়। এ সময় চেয়ার টেবিলসহ অনুষ্ঠানের মঞ্চের হামলা চালায়।
পুলিশ জানায়, সমাবেশস্থলের পাশে থাকা খাল পাড় থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে এই হামলা চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে একই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
এদিন সদর পুলিশের গাড়িতে আগুনের পর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা-ভাঙচুর করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান।
ওসি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর এলাকায় ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে তারা।
তারও আগে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় হতাহতের তথ্য এখনো পাইনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছেই।