গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ মঞ্চে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে।
এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনা স্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
এনসিপির মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে মার্চ টু গোপালগঞ্জ।
জানা গেছে, বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর সংযোগ সড়কে (লিংক রোড) পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি দল প্রথমে সেই কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে তারা পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অপরদিকে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের গান্দিয়াসুর এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ইউএনও এম রকিবুল হাসান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের গান্দিয়াসুর এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ইউএনও এম রকিবুল হাসান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভা করার কথা রয়েছে। তাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে, পরে আমার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।