প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মহাসড়কের বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। এর মধ্যে পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোণার পর থেকে উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ যেতে দুই ঘণ্টা লাগছে বলে জানান যাত্রীরা। এ পথে যানবাহন চলছে একবারে ধীরগতিতে।
ঢাকা থেকে গাড়িগুলো বের হওয়ার পর যাত্রী জন্য পথে পথে অপেক্ষা করায় এই ধীরগতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। আর এতে ঈদযাত্রার দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে যাত্রীদের।
শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে দুই হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক।
বুধবার থেকে কয়েক ধাপে কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে গাজীপুর ছাড়ছেন। এতে রাজধানী ও গাজীপুর থেকে বের হওয়ার পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
বুধবার বেশিরভাগ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার বাকি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করার পর থেকে মহাসড়কে যাত্রীর চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে।
পরিবার নিয়ে গাজীপুর থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন একটি কারখানার কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে পল্লী বিদ্যুৎ হয়ে চন্দ্রায় পৌঁছতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। চন্দ্রায় গিয়ে কাঙ্ক্ষিত বাস অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করায় দরকষাকষি করছেন তিনি।
আশুলিয়া থেকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শেখ কাইয়ুম।
তিনি বলেন, “পোশাক কারখানায় কাজ করা স্ত্রী ও ভাইয়ের ছুটি হয়েছে বুধবার। কিন্তু আমি ছুটি পেয়েছি আজ। সকালে আশুলিয়া থেকে রওনা হয়ে বিকল্প উপায়ে চন্দ্রায় পৌঁছাই আমরা।
“চন্দ্রা থেকে কাঙ্ক্ষিত বাস পেতে বেশ সময় লেগেছে। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসে উঠেছি আমরা।”
এদিকে কাঙ্ক্ষিত গাড়ি না পেয়ে খোলা ট্রাক কিংবা পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করতে দেখো গেছে।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি শওকাতুল আলম বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ ও র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।