ঈদের দিনে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ঈদুল আজহার আনন্দকে ছাপিয়ে রক্তের স্রোতে ভেসে গেছে পুরো অঞ্চলটি। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে গাজায় তাদের সব ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার (৬ জুন) খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে ১৬টি মরদেহ, আল-শিফা হাসপাতালে ১৬টি, আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ৫টি এবং দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আরও ৫টি মরদেহ আনা হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম বলেন, ‘গাজায় এভাবেই ঈদের সকাল শুরু হয়েছে-বিস্ফোরণ, আর্তনাদ ও মৃত্যুর মাঝে। ঈদের দিনে এটি এখন শুধুই বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।’
সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় আহত এক সাংবাদিক শুক্রবার মারা যাওয়ার পর, চলমান সংঘাতে গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘পদ্ধতিগত অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে।
ত্রাণের খোঁজে গিয়ে গুলিতে প্রাণহানি
রোববার ভোরে হাজারো গাজাবাসী ত্রাণ নিতে একটি বিতরণ কেন্দ্রে ভিড় করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফ্ল্যাগ রাউন্ডআবাউটে পৌঁছালে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক, নৌযান ও ড্রোন থেকে গুলি চালায়। গুলিতে বহু হতাহত হন।