গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পল্লি চিকিৎসককে অপহরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি রবিবার (৪ মে) গণমাধ্যমের নজরে আসে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটার ব্রিজ এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তরিকুল ইসলাম ওই উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি তরিকুলকে টেনে-হিঁচড়ে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশাভ্যানে তুলছেন। এ সময় তরিকুল ইসলামের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। ভ্যানে তোলার পর কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে তাকে ধরে আছেন। এ সময় কয়েকজন ঘটনাটি দেখতে থাকেন। তরিকুল তাদের সাহায্য চাইলেও তারা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর একজন ভ্যানটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘অপহৃত তরিকুল ইসলামকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। ভিডিওটি দেখে আসামি শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। টাকা-পয়সা লেনদেনের বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তরিকুল বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভাতগ্রাম বাজারে যাচ্ছিলেন। তিনি হাতি চামটার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে। এরপর তারা তাকে জোরপূর্বক রিকশা-ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পল্লি চিকিৎসকের ছোট ভাই হিরু মিয়া শনিবার বিকেলে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন একই উপজেলার চাঁদ করিম গ্রামের মিলন মিয়া (৪০) মোস্তফা (৩২), আতোয়ার রহমান (৬২), বাবুল আকন্দ (৪০), নবিউল ইসলাম ভোদো (৪০), ফিরোজ মিয়া (৩৫) এবং দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের সুমন মিয়া (৩০) ও বুজরুক রুহিয়া গ্রামের বাবলু মিয়া (৪৫)।