শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ৫ শিশু হাসপাতালে মিঠাপুকুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ১৮ তলা থেকে পড়ে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেল ৩ বছরের শিশু! তিস্তা সেতুর উদ্বোধন আগামী ২৫ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থানে শহীদদের কবরে নিম্নমানের ইট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদা চেয়ে ‘কিলার গ্যাংয়ের’ চিঠি, বিএনপির নেতাসহ গ্রেফতার ৫ জুলাই নিহত শনাক্তে রায়েরবাজার গণকবরের ১১৪টি মরদেহ তোলার সিদ্ধান্ত ৫ আগস্ট বিকেলে সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন: প্রেস সচিব জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন শুধু চাঁদাবাজি নয়; মাদকের ভয়াবহ সিণ্ডিকেটের সাথে জড়িত ছিলেন সাবেক সমন্বয়করা
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন

খানসামায় একই পরিবারে দুই প্রতিবন্ধী; বৃদ্ধ বাবা-মায়ের মানবেতর জীবন

ভুবন সেন,দিনাজপুর / ১৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া হঠাৎপাড়া গ্রামে একই পরিবারে দুই প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধ মো. আশরাফ আলী (৭৬) ও তাঁর স্ত্রী মোছা. আলেয়া বেগম (৬০)। তাঁদের দুই ছেলে মো: আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও মো: আক্কাস আলী (৩২) শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। সম্পূর্ণভাবে কর্মক্ষমতা হারানো এ দুই ভাই বিছানাতেই শুয়ে থাকেন।

আয়ের উৎস বলতে পরিবারটি প্রতিবন্ধী ভাতা আর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালান। প্রয়োজনে মা মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে ছেলেদের ভরণপোষণের চেষ্টা করেন।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আলম আলী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকেন। একজন ছেলে মারা গেছেন। অসহায় দম্পতি এখন দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়েই চরম কষ্টে দিন পার করছেন।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের দানকৃত জমিতে নির্মিত জরাজীর্ণ একটি ঘরে বসবাস করছেন তারা। ঘরের এক কোণে দুই প্রতিবন্ধী সন্তান শুয়ে আছে, আর মা তাদের সেবা-যত্নে ব্যস্ত। সংসারের নানা কাজের ফাঁকে বৃদ্ধ বয়সেও তিনি পরিশ্রম করে স্বামী ও ছেলেদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

মোছা. আলেয়া বেগম বলেন, “স্বামী আর দুই প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটে। যতটুকু পারি, অন্যের বাড়িতে কাজ করি। মাঝে মাঝে মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে হয়। না হলে খাওয়া-দাওয়া কিছুই চলে না। বড় ধরনের সহায়তা পেলে এই দুই প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।”

প্রতিবন্ধী দুই ছেলের বড় ভাই আলম আলী বলেন, “আমি নিজেই গরিব মানুষ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। তারপরও যতটুকু পারি, বাবা-মা ও ভাইদের সাহায্য করি। কিন্তু ওদের চিকিৎসা আর নিয়মিত খাবার জোগানো আমার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সহায়তা প্রয়োজন।”

গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, “পরিবারটির অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা পেলে তাদের জীবনমান কিছুটা উন্নত হতে পারে।”

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তমিজুল ইসলাম বলেন, “দুই প্রতিবন্ধী ভাই ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তবে প্রতিবন্ধী দুই ভাই ও তাঁদের বাবা-মার ভরণপোষণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে ইউএনও মহোদয় ও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ