জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নানা সময় চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশের আপামর জন সাধারণের ভালবাসা ও মানুষের সমর্থনে এবং এরশাদ প্রেমিক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংগ্রাম এবং প্রতিরোধে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জাতীয় পার্টির স্বমহিমায় এগিয়ে গেছে। কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র জাতীয় পার্টির অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না।
বুধবার গুলশানের নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, মোঃ বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান দুলাল, জিয়াউর রহমান বিপুল, মাসুদ, আব্দুস সাত্তার।
মত বিনিময় সভায় রুহুল আমিন হাওলাদার আরো বলেন, বড় রাজনৈতিক দলে অনেক সময় মান অভিমান থাকে। কিন্তু নানা সময় যারা মান অভিমান করে দল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বা পার্টিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন তাদেরকে এক ছাতার নিচে এনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কর্মকাণ্ড এগিয় চলছে। এই ঐক্যপ্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টির মালিকানা তার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। কোন একক ব্যক্তির নেতৃত্বে আর কখনোই জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে না।
মত বিনিময় সভায় রুহুল আমিন হাওলাদার আরো বলেন, বড় রাজনৈতিক দলে অনেক সময় মান অভিমান থাকে। কিন্তু নানা সময় যারা মান অভিমান করে দল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বা পার্টিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন তাদেরকে এক ছাতার নিচে এনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কর্মকাণ্ড এগিয় চলছে। এই ঐক্যপ্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টির মালিকানা তার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। কোন একক ব্যক্তির নেতৃত্বে আর কখনোই জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে না।
রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, আমি প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে আসছি। পল্লীবন্ধু এরশাদ আমাকে দীর্ঘ ১৭ বছর তার মহাসচিব রেখেছেন। দেশের প্রায় সকল জেলা উপজেলা আমি সফর করেছি। জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি সকলকে অনুরোধ করব আসুন মান অভিমান ভুলে আমরা দেশ দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী রূপে গড়ে তুলি। এদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে পল্লীবন্ধু এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা ছিল স্বর্ণযুগ। দেশের সাধারণ মানুষ এখন বলছে, এরশাদের সময় ভালো ছিলাম। এই ভালো সময় আবারও দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এরশাদের নয় বছরের শাসনামলের দেশ ও দেশের মানুষের জন্য করা যুগান্তকারী উন্নয়ন কাজগুলো আবারো সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য সারা দেশে শহর বন্দরে গ্রামে পল্লীবন্ধু এরশাদের কর্মী সমর্থকদের ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য তুলতে হবে। আমার বিশ্বাস, আবারো দেশের মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতি সমৃদ্ধি, স্বস্তি, নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে।