বৈষম্যবিরাধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলিকে আলিঙ্গন করে শহীদ হন আবু সাঈদ। আরও একবার স্বৈরাচারমুক্ত হয় বাংলাদেশ। আবু সাঈদের মৃত্যু শুধু দেশেই পরিবর্তন আনেনি, বদলে গেছে তার পরিবারও।
অনেকেই বলছেন—আবু সাঈদের যে আদর্শ, তা টিকিয়ে রাখার দায় তার পরিবারের। অনেকের মতে, সময় এসেছে তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের সেই সাধারণ কৃষক, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের দরজায় এখন কড়া নাড়ছে রাজনীতি।
মকবুল হোসেন বলেন, ‘সবাই টানে দলে যোগ দেওয়ার জন্য। আমরা যাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। কোনো একটি দলের হতে চাই না। শহীদ আবু সাঈদকে সবার করে রাখতে চাই।’
তবে মকবুল হোসেনের বয়স হয়েছে। সংসারের বড় সিদ্ধান্ত নেন অন্য ছেলেরা- শহীদ আবু সাঈদের ভাইয়েরা। সে কারণেই সব বিষয়ে শেষ কথা জানেন না মকবুল হোসেন।
একটু ভেবে আবার বলেন, ‘নিরপেক্ষ তো থাকতেই চাই। তবে কী হবে জানি না। ছেলেরা নিয়মিত ঢাকায় যায়। তারা কী করবে জানি না।’
কোন কোন দল থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার অফার পেয়েছেন জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘জামায়াত থেকে অফার পেয়েছি, বিএনপিও বলেছে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ এখনো সরাসরি কিছু বলেনি বলে জানান আবু সাঈদের বাবা। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ছেলেদের যোগাযোগ আছে বলে জানান তিনি।