শিরোনাম
মামলা দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা খালাতো ভাইকে গাঁজা দিতে গিয়ে আটক এক যুবক আজকে একটি পক্ষ আবু সাঈদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করছে : সাদেক কায়েম কাউনিয়ায় পলাশ মেম্বারের কাছ থেকে টাকা ছাড়া মিলে না ভিজিএফ-ভিজিডি কার্ডসহ সরকারি সেবা পঞ্চগড়ে রাস্তার অনিয়ম অস্বীকার; এলজিইডি কর্মকর্তাকে গণপিটুনি রাণীশংকৈলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ চাঁদাবাজ গ্রেফতার  ফেসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি ছাড়লেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী লিজা তারা অনেক বেশি ভোগ বিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন: সাদিক কায়েম যাদের অ্যানড্রয়েড ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না তাদের হাতে এখন আইফোন : উসমান হাদী কালীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, বিপাকে ব্যবসায়ী পরিবার
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামে খামারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগল

মমিনুল ইসলাম / ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগল। ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন এবং মোটাতাজা করছেন জেলার খামারিরা। শেষ মুহূর্তেও পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। গরু-মহিষ ছাগলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কোরবানির পশু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছেন খামারিরা।

ঈদুল আজহার কোরবানির জন্য এবারে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ৫ শতাধিক ছোট-বড় খামারে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার পশুর। উদ্বৃত্ত থাকবে ৫৭ হাজার পশু। বর্তমান বাজারে পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করছেন খামারিরা। যদি কম দামে বিক্রয় করে তাহলে লোকসান গুণতে হবে, হারাতে হবে পুঁজিও। আবার অনেক খামারে কাজ করে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানির পশুর হাটে পশুগুলো তুলতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারাও। কোনো ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য এ বছর স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২৯টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকার অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের শ্রমিক নুর হোসেন (৫০), আজাদ মিয়া (৪০), হানিফ মিয়াসহ (৬০) অনেকেই বলেন, আমাদের খামারে গরু-ছাগল রোগমুক্ত। মানুষের শরীরে যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই সব খাবার গরু-ছাগলকে আমরা দেই। প্রতিনিয়ত ঘাস, ভুট্টা, খড়সহ ন্যাচারাল খাবার দেই। এভাবেই আমরা প্রতি কোরবানি ঈদের জন্য গরু প্রস্তুত করে থাকি।

অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের পরিচালক লতিফুর রহমান আনন্দ বলেন, আমাদের ফার্মে একশ গরু আছে। এছাড়া ছাগল আছে এখানে লাইভ ওয়েটে গরু ও ছাগল বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি গরু ৪৫০ টাকা। আর ছাগল ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। লাইফ ওয়েটে কিনলে ক্রেতা অনেক লাভবান হবে।

খামারে আসা আনিছুর রহমান (৬০) বলেন গরু কেজিতে কিনতে এসেছি। বাজারে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। এখানে দেখে শুনে কমদামে ভালো গরু পাওয়া যায়।

চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার আমজাদ হোসেন (৫৫) বলেন, এক বছর আগে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট গরুর বাছুরে কিনে লালন-পালন করছি এখন বড় গেছে। প্রায় দুই লাখ টাকায় বাজারে বিক্রি করতে পারবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ছাগল ১ লাখ ৫৫ হাজার। এবার জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার। যা চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় চলে যাবে।

সূএ : ঢাকা পোস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ