কুড়িগ্রামের প্রস্তাবিত কচাকাটা উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫০ বছরের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ঘটনার দিন থেকে পলাতক রয়েছে। এদিকে ধর্ষণের বিষয়ে থানায় অভিযোগ না দিয়ে গোপনে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৫জুন) কচাকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড প্রধানিটারী গ্রামে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির ভাষ্যমতে, প্রায় এক বছর থেকে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও কোমল পানীয় দেয়ার কথা বলে একাধিক বার কখনো ধান ক্ষেতে কখনো সেচ ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী পঞ্চাশার্ধো দুলাল মিয়া। সর্বশেষ গত বুধবার (২৫জুন) বাড়ির নলকূপের পাশে নিয়ে শ্লীলতাহানী সহ ধর্ষণ করে তাকে। পরে সে বিষটি তার বাবা মাসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়। ধর্ষনের শিকার শিশুটির বয়স ৭ বছর। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবা মা দুইজনই হাবাগোবা ধরনের মানুষ। তারা ভালো মন্দ বোঝে না। বেশ কিছুদিন থেকে শিশুটি প্রতিদিন পঞ্চাষ ষাট টাকার বিস্কুট, চকলেট নিয়ে বাড়িতে আসে। বিষয়টি তার চাচীর নজরে আসে শেষদিন বুধবার বিকালে আরোও কিছু খাদ্যদ্রব্যসহ বাড়িতে তার চাচী শিশুটিকে এসব খাদ্যদ্রব্য কেনা টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চায়। জোড়াজুড়ি করলে দুলাল মিয়ার অপকর্মের কথা বলে সে। ধর্ষণের বিনিময়ে দুলাল মিয়া এসব কিনে দিতো বলে জানায় শিশুটি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গাঁ ঢাকা দেয় দুলাল মিয়া। এদিকে বিষয়টি গোপনে সুরাহা করতে শিশুটির দূরসম্পর্কের দাদা পল্লী চিকিৎসক মাহাতাব মিয়া জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনার পরদিন থেকে শিশুটিসহ পরিবারের লোকজনকে বাড়ি থেকে বের হতে ও কারো সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে দিচ্ছেন না সে।
পল্লী চিকিৎসক মাহাতাব মিয়া ফোনে জানান, বিষটি নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার চিন্তা করছি আমরা। এতদিন হয়ে গেল অভিযোগ দেননি কেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বাকী বিষয় পরে জানাবো। এরপর ফোন কেটে দেন তিনি। অভিযুক্ত দুলাল মিয়া পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।